কীভাবে আবেদন করেন জানুন।
বয়স কালে মানুষের জীবনের অন্যতম বড় সম্বল পেনশন। আমরা সারা জীবন কেউই রোজগার করতে পারি না। কিন্তু এমন কোন ব্যবস্থা যদি করা যায়, যাতে ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আমরা পাই তাহলে তা খুবই ভালো। যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের তো চিন্তা নেই, কিন্তু যারা সরকারি চাকরি করেন না কিংবা ব্যবসা করেন তাদের জন্য এই সমস্যার সমাধান করতে কেন্দ্রীয় সরকার হাজির হয়েছে এক দুর্দান্ত স্কিম নিয়ে।
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছিল অটল পেনশন যোজনা। এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীরা ৬০ বছর বয়সের পর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেনশন পাবেন। এই খাতে আপনি সামান্য কিছু বিনিয়োগ ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন আপনি।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই যদি চান তাহলে তারাও আবেদন করতে পারেন এই যোজনায়। এক্ষেত্রে দুজনেই আলাদা আলাদা করে পেনশন পেতে পারেন। এই যোজনার আওতায় মাসের সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী দু’জনে আবেদন করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। তবে এই যোজনার প্রিমিয়াম খুবই কম। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কথা ভেবে এই যোজনা লাগু করা হয়েছিল। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সকলেই এই যোজনার জন্য আবেদন করতে পারেন। ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আপনি এই যোজনার সুবিধা পাবেন।
সরকারি কর্মীদের সুখের দিন শেষ! মানতে হবে এই কঠিন নিয়ম, নইলে হতে পারে কড়া শাস্তি।
তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, যদি আপনার নিজের নামে কোন সিঙ্গেল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকে, তাহলে কিন্তু এই যোজনায় আবেদন করতে পারবেন না। আপনার অ্যাকাউন্টে অন্য কেউ নমিনি হতে পারে তবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট যেন না হয়। আপনার এমন কোন অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে অবিলম্বে সিঙ্গেল অ্যাকাউন্ট খুলুন। আগেই বলেছিলাম এই প্রকল্পের প্রিমিয়াম খুবই কম।
মাসে মাত্র ২১০ টাকা করে দিলেই ষাট বছর বয়সের পর থেকে আপনি প্রতি মাসে পেতে পারেন ৫ হাজার টাকা। কোন ব্যক্তি যদি ১৮ বছর বয়সে এই যোজনার শুরু করেন তাহলে তাকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রিমিয়াম দিয়ে যেতে হবে। ৬০ বছর বয়সের পর তাহলে সে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে পাবে। স্বল্প বিনিয়োগে যদি নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চান, তাহলে আজই আবেদন করুন এই স্কিমে।