ভারতের অধিকাংশ মানুষই এখনো দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এই মানুষগুলির পেটে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত তুলে দেয় রেশন ব্যবস্থা। ভারতের অধিকাংশ মানুষ এখনো রেশনের ওপর নির্ভরশীল। সরকারের তরফে প্রত্যেক মাসে কম দামে রেশন দেওয়া হয়। যেসব পরিবারের রেশন কার্ড রয়েছে তারা সরকারি রেশন দোকান থেকে গম, চাল, ডাল, চিনি ইত্যাদি কিনতে পারেন কম দামে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রত্যেক রেশন কার্ড হোল্ডারকে কিছু পরিমাণ রেশন বিনামূল্যে দেওয়া হয় প্রতি মাসে। কিন্তু ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশে, রেশন ব্যবস্থায় এক তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে এখন থেকে চাল, ডাল, গমের পাশাপাশি রেশনে মিলবে এখন থেকে দুধ, রুটি, মশলা, থেকে শুরু করে ছাতা কিংবা টর্চের মতো ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এছাড়াও রেশন দোকানে ঘি, গুড়, প্যাকড মিষ্টি থেকে শুরু করে, শুকনো ফল বাচ্চাদের জামা কাপড় সবকিছুই মিলবে কম দামে। এরপাশাপাশি কোন ব্যক্তি চাইলে কিনতে পারেন বিভিন্ন রকম ইলেকট্রনিক্স আইটেমও। এছাড়াও রেশন দোকানে বিক্রি হবে দেশলাই, নাইলন ও পাটের দড়ি, জলের জন্য ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পাইপ, প্লাস্টিকের বালতি, মগ ও চালনী। বলা যায় একপ্রকার এক ছোট ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে পরিণত হবে সেই রাজ্যের রেশন দোকানগুলি। ন্যায্য দামে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে অন্নপূর্ণা প্রকল্প।
আরও পড়ুন:- পিছিয়ে যেতে পারে স্কুলের পরীক্ষা। নতুন আপডেট নিয়ে জলঘোলা শিক্ষা মহলে।
তবে এছাড়াও মিলবে বিউটি প্রোডাক্ট, যেমন – ক্রিম, বডি লোশন, ফেসওয়াশ থেকে শুরু করে বাচ্চাদের পাউডার কিংবা শ্যাম্পু। এর ফলে সাধারণ মানুষ রেশনের দোকানে এখন রেশনের পাশাপাশি এই সমস্ত জিনিস পেতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে সরকারের উদ্দেশ্য রেশন দোকানগুলির আয় বাড়ানো। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই প্রজেক্টটি আপাতত পাইলট স্টেজে রয়েছে। আগামী দিনে দোকানে আরো হরেক রকম জিনিস আনার ইচ্ছে আছে রাজ্য সরকারের। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বরেলিতে ৫২টি এরকম দোকান খোলা হয়েছে। এই পাইলট প্রজেক্ট সফল হলে আগামী দিনে গোটা উত্তরপ্রদেশ জুড়ে এরকম দোকান আরো খোলা হবে বলে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।