বহু ক্ষেত্রেই নাগরিকদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসের তরফে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাগরিকরা জানেন না কেনো এই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে।
Advertisement

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকদের কোনো না কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকেই। আর বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের টাকা ক্রেডিট করার ক্ষেত্রে হোক বা যেকোনো ধরনের জিনিস কেনার জন্য প্রয়োজনীয় UPI পেমেন্টের ক্ষেত্রে হোক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই প্রয়োজনীয়। আর তাতেই সমগ্র ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুল পরিচিত হোক কিংবা অপরিচিত যেকোনো ব্যাংকের আওতায় ভারতের আমজনতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছেই। শুধুমাত্র ব্যাংকে নয়, অনেকক্ষেত্রেই নাগরিকদের পোস্ট অফিসেও অ্যাকাউন্ট থাকে।

Advertisement

আর এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নাগরিকরা রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের কার্যকরী নানাধরনের প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে বহু ক্ষেত্রেই নাগরিকদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসের তরফে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাগরিকরা জানেন না কেনো এই টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই এই সমস্যা সমাধান জানতে যথেষ্ট আগ্রহী ভারতের সাধারণ জনগণ।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ- এই গরমে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে মালামাল হতে চান। শুরু করুন এই ব্যবসাগুলি।

তবে এই সমস্যা সমাধানের পূর্বে জানতে হবে কেনো ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসের তরফে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা করে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্র সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের সুবিধা দিকটি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা কার্যকর করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী এই দুটি বীমা যোজনার আওতায় ১৮ বছর বয়স থেকে শুরু করুক ৫০ বছর বয়সী নাগরিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

এমনকী এই দুটি যোজনার ক্ষেত্রে নাগরিকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে অটো ডেবিট অপশন -এর অসুবিধা পেয়ে থাকেন। কোনো ব্যক্তি এই যোজনার আওতায় অটো ডেবিট অপশনের সুবিধা নিতে চাইলে উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৩৬ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়ে থাকে। এই টাকা উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট থেকে এক বছরের ৩১শে মে বা তার আগের যেকোনো সময় কেটে নেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র ব্যাংক কিংবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই এই দুটি স্কিমের সুবিধা পাওয়া যায় তা নয়, অন্যান্য বীমা সংস্থাগুলির তরফেও এই স্কিম দুটি অফার করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ- রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ৮ টি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হলো। এই ব্যাংকগুলিতে আপনার অ্যাকাউন্ট নেই তো?

তবে আপনি যদি কোনোভাবে এই বীমা চালিয়ে যেতে না পারেন বা এই বীমায় বিনিয়োগ না করতে চান তবে আপনাকে যে ব্রাঞ্চে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই ব্রাঞ্চে যেতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলি সঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমে এই যোজনা থেকে নিজের নাম বাতিল করতে হবে। এর পাশাপাশি আরো জানিয়ে রাখি যে, সময় মতো এই যোজনার আওতায় প্রিমিয়াম দেওয়া না হলে স্বাভাবিকভাবেই এই যোজনা দুটি থেকে আপনার নাম বাতিল হয়ে যাবে। এমনকী আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে টাকা না থাকে তাহলেও এই যোজনা থেকে আপনার নাম বাতিল হয়ে যাবে। সুতরাং, আপনার ক্ষেত্রেও যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অতিরিক্ত ৪৩৬ টাকা প্রত্যেক বছরে কাটা হয়ে থাকে তবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আপনি আপনার ব্যাংকের ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করার মাধ্যমে এই বীমা যোজনা থেকে নিজের নাম বাতিল করতে পারেন অথবা আপনার ইচ্ছা অনুসারে এই যোজনায় বিনিয়োগ করতে পারেন।