adenovirus-has-affected-entire-west-bengal
Advertisement

বিগত দুই বছর ধরে চলতে থাকা করোনা অতিমারির ভয়ংকর স্মৃতি ভুলে স্কুল, কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষপ্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে উদ্যোগী পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের জনগণ। আর এবারে বছরের শুরুতেই পুনরায় করোনা মহামারির স্মৃতি ফিরিয়ে আনছে অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)।

Advertisement

তবে এবারে এই নতুন ভাইরাসের বলি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা নয়, বরং নবজাতক শিশুরা। রাজ্যজুড়ে প্রত্যেকদিন শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। একইসাথে বাড়ছে শিশু মৃত্যুর সংখ্যাও। আর তাতেই শিশুদের পিতামাতা, অভিভাবক থেকে শুরু করে খোদ প্রশাসনের কপালে ভাঁজ পড়েছে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা যে একেবারেই বাদ পড়েছে তা নয়, বিভিন্ন সূত্র মারফত প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) অল্পবিস্তর সংক্রমণ ঘটেছে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। এই গাইডলাইনে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে যে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় হাতিয়ার হলো নিজস্ব সাবধানতা বজায় রাখা। আর তাতেই এই গাইডলাইনে প্রাপ্তবয়স্ক তথা শিশুদের বারংবার হাত ধোঁয়ার অভ্যাস করতে বলা হয়েছে। এমনকী বাইরে থেকে ফিরে হাত-পা না‌ ধুঁয়ে, জামাকাপড় বদল না করে শিশুদের কাছে যেতেও বারণ করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের প্রকাশিত গাইডলাইনে।

Google Pay, PhonePe, Paytm এর মাধ্যমে দিনে সর্বোচ্চ কতো টাকা পাঠানো যায় আপনি জানেন?

ইতিমধ্যেই নাগরিকদের একাংশ করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য জারি করা গাইডলাইনের সাথে অ্যাডিনো ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য প্রকাশিত গাইডলাইনের মধ্যে খানিকটা হলেও মিল খুঁজে পেয়েছে। আর তাতেই ক্রমান্বয়ে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি এই গাইডলাইনে শিশু সহ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী যেখানে-সেখানে কফ, থুতু ফেলতেও বারণ করা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে প্রকাশিত এই গাইড লাইনে। এছাড়াও অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে।

এর পাশাপাশি এই গাইডলাইনে আরো জানানো হয়েছে যে, অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ হলে শিশুকে যেনো কোনোভাবে স্কুলে পাঠানো না হয়। তবে অনেকক্ষেত্রেই শিশুরা অ্যাডিনো ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হলেও পিতা-মাতা তা সঠিক সময় বুঝতে পারেন না। ফলত এক শিশু থেকে অন্য শিশুর মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আর তাতেই নাগরিকদের একাংশ মনে করছে করোনা ভাইরাস চলাকালীন শিশু, কিশোরদের সুরক্ষিত রাখার জন্য যেমনভাবে স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনভাবেই আবারও স্কুল-কলেজ বন্ধ হতে চলেছে।

মার্চ মাসের শুরুতেই মিলবে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অনুদান, কারা অনুদান পাবেন জেনে নিন।

যদিও রাজ্য সরকার এবং স্বাস্থ্য ভবনের তরফ এখনো পর্যন্ত এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এমনকী ছুটি বিষয়ক কোনো মন্তব্য করা হয়নি স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। তবে অ্যাডিনো ভাইরাসের প্রকোপে রাজ্যজুড়ে যেভাবে শিশুদের মৃত্যু বাড়ছে, তাতে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসন সহ স্বাস্থ্য ভবন এবং রাজ্য সরকার। সুতরাং, আগামী দিনে শিশু, কিশোরদের সুরক্ষিত রাখার জন্য স্কুল, কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের ব্যক্তিত্বদের তরফে। যদিও এবিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশিক জারি করা হয়নি। সুতরাং, সুস্থ শরীরে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পড়ে বহাল তবিয়ৎ স্কুল-কলেজে যেতে পারে শিশুরা।