application-process-of-nabanna-scholarship-has-been-started
Advertisement

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। তবে সেই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য নূন্যতম ৬০ শতাংশ নাম্বার প্রয়োজন। কিন্তু অনেক ছাত্র-ছাত্রী এমন আছেন যারা একটুর জন্য ৬০ শতাংশ নম্বর পাননি। তবে তারা কি স্কলারশিপ থেকে বঞ্চিত হবেন? মোটেই না। তাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে শুরু হয়ে গেল নবান্ন স্কলারশিপে আবেদনের প্রক্রিয়া। কিভাবে আবেদন করবেন? কিংবা স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য কত নাম্বারই বা থাকা প্রয়োজন? সব বিস্তারিত জানার জন্য পড়তে থাকুন এই প্রতিবেদনটি।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ। এই স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য ৬০ শতাংশ নাম্বার প্রয়োজন। তাই অনেক দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রী স্কলারশিপের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। কিন্তু নবান্ন স্কলারশিপে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই পড়ুয়ারা আবেদন করতে পারবে। অর্থাৎ যে সকল ছাত্র-ছাত্রী মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে কিন্তু ৬০ শতাংশ নম্বর পায়নি, তারা সকলেই আবেদন করতে পারবে এই স্কলারশিপের জন্য। আর সকলের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি ইতিমধ্যেই ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে নবান্ন স্কলারশিপে আবেদনের প্রক্রিয়া। তবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে এই স্কলারশিপে আবেদনের সুযোগ। যেই ছাত্র-ছাত্রীরা স্নাতকে ৫০ শতাংশের বেশি এবং ৫৩ শতাংশের কম নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে।

Advertisement

এই স্কলারশিপে আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু ক্রাইটেরিয়া রয়েছে। প্রথমত আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। দ্বিতীয়ত যে আবেদন করছে তাকে পরবর্তী ক্লাসে কিংবা স্তরে পাঠরত থাকতে হবে। পড়াশোনা ছেড়ে দিলে এই স্কলারশিপ পাবেনা। পরীক্ষার্থীকে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর কিন্তু ৬০ শতাংশ এর কম নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। স্নাতকোত্তর স্তরে এই স্কলারশিপ পেতে হলে শিক্ষার্থীকে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি কিন্তু ৫৩ শতাংশের কম নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। তবে আবেদনকারীকে মাথায় রাখতে হবে যে পারিবারিক আয় যেন বার্ষিক এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার নিচে হয়। এই মর্মে আবেদন করার সময় আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট সার্টিফিকেট জোগাড় করতে হবে এ গ্রেডেড অফিসারের থেকে। তবে সেই সার্টিফিকেট না হলেও স্থানীয় এমপি কিংবা এমএলএ-র থেকে প্রাপ্ত সার্টিফিকেট হলেও কাজ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:- ঘরে বসে অল্প পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা। মাস গেলে হাতে আসবে ভালো পরিমাণ টাকা।

এছাড়াও আবেদন করার সময় প্রয়োজন হবে শেষ পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ড। এর পাশাপাশি আবেদনকারীর নিজস্ব ফোন নাম্বার এবং সেভিংস ব্যাংক একাউন্ট থাকা প্রয়োজন। আগে এই স্কলারশিপে আবেদন সম্পূর্ণ অফলাইনে করতে হতো। কিন্তু এই শিক্ষাবর্ষ থেকে সকলের সুবিধার জন্য স্কলারশিপ অনলাইনে আবেদন করা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি এই স্কলারশিপে আবেদন করলে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী এবং স্নাতক স্তরে এই স্কলারশিপের পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। তবে স্নাতকোত্তর স্তরে এই স্কলারশিপের পরিমাণ হবে ১২০০০ টাকা। আবেদন যদি করতে চান তাহলে এই স্কলারশিপের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। সুবিধার্থে ওয়েবসাইট লিংক দেওয়া হল- https://cmrf.wb.gov.in/

সব আবেদনকারীকে জানানো যাচ্ছে যে ইনকাম সার্টিফিকেট এবং মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানোর সুপারিশ পত্র Sample Link বানিয়ে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। সেগুলিই ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে হবে। এখনো পর্যন্ত আবেদন করার শেষ তারিখ দেওয়া হয়নি সরকারিভাবে। তবে যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি আবেদন করে দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।