applications-of-these-four-important-scholarships-are-in-progress-in-january
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তরফে নানাবিধ স্কলারশিপ (Scholarship) কার্যকরী করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই স্কলারশিপগুলির অধীনে অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদনের সঠিক সময় না জানার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক সময়ে এই স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন না। আর তাই আজ আমরা এমন কতোগুলি স্কলারশিপ (Scholarship) সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি যেগুলির অধীনে এই জানুয়ারি মাসে ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন জানাতে পারবেন।

Advertisement

(১) স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ:- পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের কার্যকরী এই স্কলারশিপের অধীনে জেনারেল সম্প্রদায়কভুক্ত ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে তপশিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যেকেই আবেদন জানাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হয় এবং স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় ৫৩ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা তুলনায় কম হতে হয়।

Advertisement

এই স্কলারশিপের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীরা সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯৬ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান পেয়ে যাবেন। তবে একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী কতো টাকা অনুদান পাবেন তা নির্ভর করছে তিনি কোন কোর্সের অধীনে কোন স্তরে পড়াশোনা করছেন তার উপরে। বর্তমানে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে। যদিও আবেদনের ক্ষেত্রে শেষ তারিখ কবে তা এখনও পর্যন্ত স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি।

এই বছরে কোন রেশন কার্ডে কতো সামগ্রী পাবেন? জেনে নিন এখনই।

(২) সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ:- পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি স্কলারশিপ হলো সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই ছাত্র-ছাত্রীরা স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অফলাইন মারফত আবেদন জানাতে হয়। সেক্ষেত্রে আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফর্মের সাথে উপযুক্ত নথিপত্র যুক্ত করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পোষ্টের মাধ্যমে পাঠাতে হয়।

এই স্কলারশিপের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিমাসে নূন্যতম ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩২০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। তবে স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা তুলনায় কম হতে হবে। এর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা যদি সীতারাম জিন্দাল ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে নির্ধারিত নম্বরের গণ্ডি উত্তীর্ণ হতে পারেন তবে এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারবেন। যেহেতু স্কলারশিপের অধীনে সারা বছরই আবেদন জানানো যায়, সুতরাং, আপনারা চাইলে বর্তমানে এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারবেন।

(৩) ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ স্কিম:- রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকর ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ পোর্টালের অধীনে পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ, মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ এবং স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের মতো আরো অন্যান্য ধরনের স্কলারশিপ স্কিম রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের যোগ্যতা অনুসারে এই পোর্টালের মাধ্যমে এই সমস্ত স্কলারশিপগুলির অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে অনুদান পেতে পারেন।

তবে এই পোর্টালের অধীনে থাকা স্কলারশিপগুলির আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার শেষ তারিখ হল ৩১শে জানুয়ারি। অর্থাৎ আপনিও যদি এই স্কলারশিপগুলির অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান তবে আপনাকেও জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে স্কলারশিপগুলির অধীনে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো এই স্কলারশিপগুলির অধীনে কেবলমাত্র সংখ্যালঘু শ্রেণীভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন জানাতে পারবেন।

(৪) কিপ ইন্ডিয়া স্মাইলিং ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ অ্যান্ড মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম:- পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়ে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হলেই এই স্কলারশিপের অধীনে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, স্নাতকস্তরে পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা এবং BDS কোর্সে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরাও এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদন জানাতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আবেদনের জন্য একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের নূন্যতম ৭৫ শতাংশ নম্বর পেতে হবে এবং BDS কোর্সে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। স্কলারশিপের আওতায় থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের নূন্যতম ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমানে স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের প্রক্রিয়া কার্যকরী রয়েছে এবং ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত আবেদনের প্রক্রিয়া কার্যকরী থাকবে।