পশ্চিমবঙ্গের দুঃস্থ, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পড়াশোনার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য পারম্পরিক- দ্যা ট্র্যাডিশন ফাউন্ডেশনের তরফে পারম্পরিক স্কলারশিপের আয়োজন করা হয়েছে। স্কলারশিপের আওতায় পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনুদান দিয়ে সহায়তা করা হয়ে থাকে। আর তাই আজ আমরা এই স্কলারশিপের অধীনে ছাত্র-ছাত্রীরা কিভাবে আবেদন জানাতে পারবেন, আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথিপত্র কি কি, পারম্পরিক স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে আবশ্যিক যোগ্যতা কি কি তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।
কারা পারম্পরিক স্কলারশিপের অধীনে অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন:-
১. পশ্চিমবঙ্গের যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, নার্সিং, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছেন তারা পারম্পরিক স্কলারশিপের অধীনে অনুদানের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা স্নাতকোত্তর স্তরের বিভিন্ন কোর্সে পড়াশোনা করছেন তারা এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদনের ক্ষেত্রে বিগত পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৮০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
২. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
এই স্কলারশিপের অধীনে একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী কতো টাকা অনুদান পেয়ে থাকেন?
পারম্পরিক স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই স্কলারশিপের অধীনে আবেদনকারী ছাত্র বা ছাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট কোনো অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী বর্তমানে যে কোর্সে পাঠরত তার ওপর নির্ভর করে স্কলারশিপের অধীনে অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে।
এই শীতে শুরু করুন নার্সারির ব্যবসা এবং প্রতি মাসে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করুন।
পারম্পরিক স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে কিভাবে আবেদন করবেন?
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যেকোনো ছাত্র অথবা ছাত্রী পারম্পরিক স্কলারশিপের অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চাইলে তাকে অবশ্যই অনলাইনের মারফত আবেদন জানাতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে এই স্কলারশিপের কর্তৃপক্ষের তরফে কার্যকরী একটি বিশেষ ইমেইল আইডিতে একটি ইমেইল পাঠাতে হবে। এই ইমেইলে একজন ছাত্র অথবা ছাত্রীকে তার নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, বর্তমানে কোন কোর্সে তিনি পড়াশোনা করছেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কতো নম্বর পেয়েছেন, বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, আবেদনকারী ছাত্র ও ছাত্রীর ইমেইল আইডি এবং মোবাইল নম্বর সঠিকভাবে লিখে পরিবারের বার্ষিক আয়ের বিবরণ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি ওই মেইলে অ্যাটাচ করে নির্দিষ্ট ইমেইল আইডিতে পাঠাতে হবে।
ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ইমেইল আইডিটি হলো:- paramparik_tradition@yahoo.co.in
আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি সমূহ:-
১. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রী পূর্ববর্তী পরীক্ষার মার্কশিট।
২. বর্তমানে একজন ছাত্র অথবা ছাত্রী যে কোর্সে পাঠরত তাতে ভর্তির রশিদ।
৩. আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
৪. আবেদনকারী ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য (এক্ষেত্রে ছাত্র অথবা ছাত্রীর ব্যাংকের পাসবইয়ের প্রথম পৃষ্ঠাটি স্ক্যান করে মেইলে অ্যাটাচ করতে হবে)।
৫. আবেদনকারীর আধার কার্ড।
৬. আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীর পরিবারের বার্ষিক আয়ের প্রমাণপত্র।
৭. ছাত্র অথবা ছাত্রী যদি তপশিলি জাতি, উপজাতি অথবা ওবিসি সম্প্রদায় ভুক্ত হয়ে থাকেন তবে তার কাস্ট সার্টিফিকেট।
নির্বাচনের প্রক্রিয়া:-
পারম্পরিক স্কলারশিপের অধীনে কারা অনুদান পাবেন তা নির্বাচনের জন্য যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রী আবেদন জানিয়েছেন তাদের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়ে থাকে। ইন্টারভিউয়ের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীর পরিবারের বার্ষিক আয় পর্যালোচনা করেও কারা স্কলারশিপের অধীনে অনুদান পাবেন তা নির্বাচন করা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি যে, কোনোভাবে যদি আবেদনকারী ছাত্র অথবা ছাত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সহ অন্য যেকোনো নথিতে যদি কোনোরকম সমস্যা থেকে থাকে তবে তিনি কোনোভাবে এই স্কলারশিপের অধীনে অনুদানের টাকা পাবেন না। যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রী আবেদনের সমস্ত তথ্য সঠিক রয়েছে এবং ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল করেছে তারাই এই স্কলারশিপের অধীনে অনুদান পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।