apply-to-this-new-scheme-and-get-5000-rupees

যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে বারংবার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প (New Scheme) কার্যকর করা হয়ে থাকে। তবে এবারে নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই যুবক-যুবতীদের স্বার্থে আরও এক নতুন প্রকল্প কার্যকর করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্পে আবেদন করলে যুবক-যুবতীরা একেবারে ৫০০০ টাকার অনুদান পেয়ে যাবেন। রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসারে দুয়ারে সরকারের আওতায় এই প্রকল্পকে আনা হয়েছে এবং দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই রাজ্যের যুবক-যুবতীরা এই প্রকল্পের (New Scheme) আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার সুবিধা পেয়ে যাবেন।

তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকল্পের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য না জানার কারণে রাজ্যের যুবক-যুবতীরা রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী নতুন প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারছেন না। যার ফলে কারা রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী নতুন প্রকল্পের আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন, কিভাবে নতুন প্রকল্পের অনুদান দেওয়া হবে তা জানতে রীতিমতো আগ্রহী হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের যুবসমাজ। আর তাতেই আজকের এই পোস্টে আমরা রাজ্য সরকারের কার্যকরী নতুন প্রকল্পটি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করতে চলেছি।

আরও পড়ুনঃ- এই পদ্ধতিতে বিদ্যুতের বিল জমা করলেই মিলবে ২০% ছাড়। বিস্তারিত জেনে নিন।

আর যুবক-যুবতীদের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, মৎস্যজীবীদের আর্থিক সহায়তা করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে এই নতুন প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ যেসমস্ত যুবক-যুবতীরা মৎস্যচাষের মধ্যে দিয়ে স্বনির্ভর হতে চাইছেন তাদের এই প্রকল্পের আওতায় অনুদান প্রদান করবেন রাজ্য সরকার। তবে এক্ষেত্রে যারা অন্যের জলাশয় লিজ নিয়ে তাতে মাছ চাষ করে থাকেন তাদের মূলত ৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হবে। তবে এই প্রকল্পটি রাজ্য সরকারের তরফ এই প্রথম কার্যকর করা হয়নি। ইতিপূর্বেও রাজ্য সরকারের তরফে মৎস্যচাষীদের সুবিধার দিকটি মাথায় রেখে মাছের চারা কিনে দেওয়ার মাধ্যমে মৎস্যচাষীদের সহায়তা করা হতো।

কিন্তু মাছের চারা কিনে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা সামনে আসায়, বর্তমানে মাছের চারা কিনে দেওয়ার বদলে ৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে। অর্থাৎ যুব সমাজকে মৎস্য চাষে উদ্যোগী করে তুলতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুরনো প্রকল্পকে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যক্তিত্বরা। যদিও একেবারেই এই ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে না। মৎস্য চাষীদের অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে এই ৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। প্রথমে মৎসচাষীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ১ হাজার টাকা ট্রান্সফার করা হবে সেই ১ হাজার টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট অফিসে জমা দিলে তবে পরবর্তী ধাপে পুনরায় ১০০০ টাকা পাবেন মৎস্যজীবীরা।

আরও পড়ুনঃ- লক্ষ্মীর ভান্ডারের পর বাংলা কাঁপাচ্ছে এই প্রকল্প। আবেদন করলেই মিলবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক সুবিধা।

এভাবেই ধাপে ধাপে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা নেওয়ার মাধ্যম মৎস্যজীবীদের ৫,০০০ টাকার অনুদান দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের অনুদান যাতে কোনোরকম অযোগ্য আবেদনকারীর হাতে না যায় বা যাতে অন্যকোনো খাতে ব্যবহার করা না হয় তার জন্যই নবান্নের তরফে এইরূপ নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। আগামী দিনের রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে রাজ্যের ৯০০০ মৎস্যজীবী উপকৃত হবেন বলেই জানানো হয়েছে নবান্নের তরফে প্রকাশিত তথ্যে। আগামী দিনে এই প্রকল্পে কারা অনুদান পাবেন তা নির্ধারণ করবেন এই প্রকল্পের কর্মকর্তারা। এর পাশাপাশি নবান্নের তরফে প্রকাশিত তথ্যে আরো জানা গিয়েছে যে, হুগলি, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম ও বাঁকুড়ার মৎস্য চাষিরা এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। সুতরাং, আপনি যদি মৎস্য চাষে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্পে অবশ্যই আবেদন জানান।