আবার যোজনা নিয়ে অনিয়মকে কেন্দ্র করে এর আগেও পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের অন্যান্য রাজ্যের নাগরিকরা বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। আর তাতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবাস যোজনা সংক্রান্ত এই সমস্ত অনিয়মগুলিকে দূর করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ কার্যকর করা হয়েছিল। আর এই সমস্ত পদক্ষেপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে আবাস যোজনার অধীনে আগামী দিনে কারা ঘর পেতে চলেছেন সেই সমস্ত নাগরিকদের তালিকা খতিয়ে দেখা হয়েছিল এবং যথাযথ সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছিল। তার ফল স্বরূপ এবারে এমন এক তথ্য পশ্চিমবঙ্গবাসী সাধারণ জনগণের সামনে আনা হয়েছে, যার কারণে হুঁশ উড়েছে সাধারণ নাগরিক সহ জেলা প্রশাসনের।
সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link
কেন্দ্রীয় সরকার তথা পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের নির্দেশে ইতিপূর্বে আবাস যোজনা সংক্রান্ত যে সমীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছিল তার ফলস্বরূপ নদীয়া জেলা থেকে আবাস প্লাস (Awas Plus) যোজনার অধীনে থাকা ১ লক্ষ ২৮ হাজার আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত গাইডলাইন অনুসারে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবাস যোজনা সংক্রান্ত যে সমীক্ষা করা হয়েছিল তার পরে আবাস প্লাস যোজনার তালিকা থেকে কয়েক হাজার আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছে। অন্যদিকে, আরও বিভিন্ন কারণে নদীয়া জেলায় বসবাসকারী প্রায় ৩২ হাজার আবেদনকারীর নাম সিস্টেম থেকে বাদ পড়েছে। আর এই দুই দিকের পরিসংখ্যান মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার আবেদনকারীর নাম বাদ পড়েছে।
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে আবাস যোজনার আওতায় কারা বাড়ি পেতে চলেছে তাদের তালিকা সম্পূর্ণ করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আবাস প্লাস (Awas Plus) যোজনার অধীনে নদীয়া জেলাকে যে কোটা দেওয়া হয়েছিল তা এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়নি। জেলা প্রশাসনের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, নদীয়া জেলার জন্য যে কোটা দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করতে এখনো পর্যন্ত ২০০০ আবেদনকারীর নাম নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কারণে চাকরি গেলো ৬১৮ জনের। প্রকাশিত হলো নামের লিস্ট
এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের তরফ আরো জানানো হয়েছে যে, রাজ্যব্যাপী বহু আবেদনকারী কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে অথবা অন্য দেশে বসবাস করেন যার কারণে তাদের থেকে প্রয়োজনীয় নথি জমা করা সম্ভব হয়নি ফলত তাদের নাম রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। অন্যদিকে, অনেক আবেদনকারীই তাদের জমির সঠিক কাগজপত্র জমা করতে পারেননি, অনেকক্ষেত্রেই আবার আবেদনকারীরা সরকারি জমিতে বসবাস করছেন যার কারণে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সময় লাগছে। তবে আগামী দিনে সমস্ত তথ্য যাচাই করে সকল গাইডলাইন মেনেই আবাস যোজনার আওতায় আবেদনকারীদের বাড়ি তৈরির অনুমোদন ও অনুদান দেওয়া হবে এমনটাই জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
