be-aware-of-fraud-message-sent-at-mobile
Advertisement

বর্তমানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসারে, একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেট না করলে ভারতের সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ্যে আসায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেটের সঙ্গে জড়িত প্যান কার্ড আপডেটের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছে ভারতের সাধারণ মানুষ। তবে সমস্যা অন্যক্ষেত্রে, অনেকক্ষেত্রেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেট কিংবা প্যান কার্ড আপডেট করার সময়ে অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা খোয়াতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Advertisement

আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে। সময় যতো এগিয়েছে ততোই ভারত সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ডিজিটালাইজেশনের দিকে এক এক ধাপ করে এগিয়ে গিয়েছে। তাতে যেমন সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়েছে, তেমনি বেড়েছে সাইবার ক্রাইম-এর মতো সমস্যাগুলিও। ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা নিয়ে একদল অসাধু ব্যবসায়ী সাধারণ মানুষকে বারংবার বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে তাদের অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা লুটে নিতে উদ্যত হয়েছে। আর এবারে এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ার করেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেট এবং প্যান কার্ড আপডেটের বিষয়টিকে।

Advertisement

বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে যে, এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা ভারতের সাধারণ মানুষের ফোনে একটি মেসেজ (Fraud message) পাঠাচ্ছে। এই মেসেজের বক্তব্য হল, উক্ত ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট মেসেজে থাকা লিংকে ক্লিক করে তার প্যান কার্ড আপডেট বা কেওয়াইসি আপডেট না করেন, তবে ওই ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কোনোমতেই রিকভার করা সম্ভব নয়। আর অনেক গ্রাহকই এই মেসেজ পড়ে ভয় পেয়ে ওই লিংকে ক্লিক করে নিজের অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা হারিয়েছেন।

আবাস যোজনার অনুদান কারা পাবেন জেনে নিন মাত্র ২ মিনিটে

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রতারণার বিষয়টি সামনে এসেছে HDFC ব্যাংকের এক গ্রাহকের মাধ্যমে। উক্ত গ্রাহক ট্যুইটারে HDFC ব্যাংককে ট্যাগ করে একটি এসএমএস (Fraud message) স্ক্রিনশট শেয়ার করে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানান। যদিও পরবর্তীতে এরকম আরো প্রতারণামূলক মেসেজের খবর সামনে এসেছে। আর তাতেই HDFC ব্যাঙ্ক সহ অন্যান্য ব্যাংকের তরফে তাদের গ্রাহকদের এইরূপ প্রতারণামূলক এসএমএস-এর ফাঁদে পা দিতে বারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে HDFC ব্যাংকের তরফে তাদের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে কোনো অজানা নম্বরে তাদের কেওয়াইসি, প্যান কার্ড, আধার কার্ডের তথ্য শেয়ার করতে বারণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়েছে যে, HDFC ব্যাংকের তরফে কেবলমাত্র তাদের অফিশিয়াল আইডির মাধ্যমে মেসেজ পাঠানো হয়, এইভাবে কোনো তথ্য চাওয়া হয় না।

এই সমস্ত ব্যক্তিদের আধার ও প্যান লিঙ্কে লাগবেনা কোনো জরিমানা। বিজ্ঞপ্তি দেখে নিন

ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সামনে আসতে গ্রাহকের মধ্যে আগামী দিনে কিভাবে এই সমস্ত সাইবার ক্রাইম থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে তা নিয়ে বারবার বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এই সমস্ত গ্রাহকের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, কোনো অপরিচিত নম্বর থেকে কল বা মেসেজ আসলে উক্ত ব্যক্তিকে কোনোভাবেই নিজের ওটিপি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আধার কার্ড, প্যান কার্ড -এর মতো তথ্যগুলি শেয়ার করবেন না। এক্ষেত্রে ব্যাংকের নামে মেসেজ আসলে অবশ্যই আপনার ব্যাংকের হেল্পডলাইন নম্বরে অথবা ম্যানেজারকে ফোন করে নিশ্চিত হয়ে তবেই প্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন। UPI এবং মোবাইল ব্যাংকিং -এর ক্ষেত্রে সর্বদা শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাপগুলির ক্ষেত্রে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সিকিউরিটি ফ্যাক্টর কার্যকরী করে রাখুন, তাহলে প্রত্যেকবার অ্যাপ ওপেন করার সময় আপনাকে একটি OTP অথবা পাসওয়ার্ড এন্টার করতে হবে। এছাড়াও আপনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার কার্যকর করে রাখতে পারেন। এর পাশাপাশি যেকোনো অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ এলে চেক করে নিন URL টি যথাযথ কিনা। এছাড়াও গ্রাহকদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এর নম্বর, OTP এগুলি কোনোভাবেই প্রদান করবেন না। এই সমস্ত মেসেজগুলি থেকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে নতুবা যেকোনো সময় আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।