ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ভারতের স্থায়ী নাগরিকদের জন্য প্যান কার্ড আধার কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়েছে যে, ৩১শে মার্চ তারিখের মধ্যে যেসমস্ত নাগরিকরা ১০০০ টাকা জরিমানা দিয়ে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক (Pan Card Aadhaar Card Link update) করার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করবেন না তাদের প্যান কার্ডটি আগামী দিনে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। তবে এবারে নাগরিকদের সুবিধার বিষয়টি মাথায় রেখে এই জরিমানার টাকা নিয়ে এক বিশেষ আপডেট সামনে আনা হলো।
বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ জমেছে। তবে শুধুমাত্র আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করার বিষয়টি নিয়ে নয়, বিশেষত ১০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতীয় নাগরিকরা। আর বহু সংখ্যক সাধারণ জনগণের ক্ষেত্রেই একেবারে ১০০০ টাকা দিয়ে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলত ৩১শে মার্চের মধ্যে আধার এবং প্যান লিংক বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হলেও জরিমানার কারণে বহু সংখ্যক মানুষ এই সময়সীমার মধ্যে তাদের আধার কার্ড ও প্যান কার্ড লিঙ্ক করতে পারবেন না বলেই দাবি করা হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে।
আর এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ১০০০ টাকা জরিমানা দিয়ে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক (Pan Card Aadhaar Card Link update) করানোর ক্ষোভের আঁচ পড়ছে সরাসরি বিজেপি নেতাদের উপরে। ফলোতো, বিজেপি নেতাদের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ১০০০ টাকা ফাইন মকুবের জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় এক ট্যুইটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে ১০০০ টাকার জরিমানা মকুব করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি এই ট্যুইটে তিনি আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করার কারণে বয়স্কদের যে সমস্যা হচ্ছে তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
বাড়িতে কন্যা সন্তান থাকলেই সরকার দেবে ৭৫ হাজার টাকা। কিভাবে আবেদন করবেন জেনে নিন
তবে এখানেই শেষ নয়, এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ক্ষমতায় আসার পর ডিজিটালাইজেশনের খাতিরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারংবার বিভিন্ন ধরনের ফরমান জারি করা হয়েছে যার কারণে যথেষ্ট নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন বয়স্ক মানুষরা, যারা এখনো পর্যন্ত স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারের বিষয়ে বিশেষ কিছু জানেন না। যার কারণে তাদের কখনো ব্যাংকে কিংবা কখনো সরকারি দপ্তরের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্ত কাজগুলি সম্পন্ন করতে হয়েছে।
মমতা ব্যানার্জীর বিশেষ ঘোষণা। এই সমস্ত পরিবার পেতে চলেছেন ৫০ হাজার টাকা
আর তাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে বলেই জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়। ফলত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করার নিয়ম ঘিরে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের এই ট্যুইট এবং এই মন্তব্য ঘিরে যথেষ্ট শোরগোল পড়েছে রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক মহলে। যদিও ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বারংবার সাধারণ মানুষকে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে বিনামূল্যে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করা গেলেও বহু সংখ্যক মানুষ তা করেননি।
আর তাতেই বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারকে আধার এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করতে হয়েছে এবং তার সাথে এই জরিমানার প্রক্রিয়া কার্যকর করতে হয়েছে বলেই দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তবে সাধারণ মানুষের সুবিধার দিকটি মাথায় রেখে এই সমস্ত নিয়মগুলির ক্ষেত্রে আরও খানিকটা নমনীয় এবং জরিমানার বিষয়টি নিয়ে পুনর্বার চিন্তা করা উচিত বলেই দাবি করা হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে। আর তাতেই আগামী দিনে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করার ক্ষেত্রে এই জরিমানা থাকবে কি থাকবে না তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বারংবার বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন উঠছে।