মুসলিম মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডারে ১০০০টাকা দেওয়ার দাবি জানালো তৃণমূলেরই বিধায়ক। বিধানসভার বাদল অধিবেশনে এমন দাবি শুনে কিছুটা অস্বস্তিতে তৃণমূলের বিধায়ক মন্ত্রীরা। এই পরিস্থিতিতে তাই তৎপর হয়ে উত্তর দিতে শুরু নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। এটা তো ধর্মের উপর নির্ভর করে দেওয়া হয়না। মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করেছেন প্রান্তিক মহিলাদের তিনি ১০০০টাকা করে দেবেন। এই প্রস্তাব বিধানসভায় তোলার আগে অন্তর্বর্তী পারিষদীয় দলের মধ্যে জানাতে পারেন। লক্ষীর ভান্ডারে শুধুমাত্র SC-ST দের ১০০০টাকা করে দেওয়া হয়। বাকি প্রত্যককে ৫০০করে দেওয়া হয়। প্রায় ২কোটি বাংলার মহিলা এই সুবিধা পান।
এটা সম্পূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিস্কপ্রসুত, এই ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারে। ডেবরার বিধায়ক হুমায়ন প্রতিচী ট্রাস্টের একটি রিপোর্ট তুলে ধরে যেখানে দেখা যাচ্ছে মুসলিম মহিলাদের শোচনীয় অবস্থা। এছাড়াও বিভিন্ন সার্ভে সংস্থার কথাও তুলে ধরে। শশী পাঁজা এতে বলেন এটা এই ধরনের ধর্মের ভিত্তিতে দেওয়ার কোনো ভাবনা নেই। তাঁর নতুন কোনো প্রস্তাব থাকলে তিনি জানাতে পারেন। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট না হতে বলেন তিনি। এই দাবি শুনে আবার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন হুমায়নের দাবি একদম সঠিক। রাজ্য সরকার রাজ্যের কোনো সার্বিক উন্নতি দেখছেননা। শুধুমাত্র তারা সংখ্যালঘু ভোট বাক্সকে কাজে লাগাতে চাইছে। হুমায়নের উচিত তার দাবি না মানলে দল থেকে ইস্তফা দেওয়া।
আরও পড়ুন:- এই সিম্পল পদ্ধতিতে টিকিট কাটলে যে কোনো সময় পাওয়া যাবে কনফার্ম টিকিট। পদ্ধতি জেনে নিন।
আবার অধিবেশন শেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন প্রতিচী ট্রাস্টের রিপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সেগুলি জমা দিতে তাঁর কাছে এবং তিনি যেন কথা ইংরাজীর পরিবর্তে বাংলাতে বলেন এবং রিপোর্টও বাংলাতে জমা দেয়। মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কে উঠে আসা তথ্যগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।