big-update-about-ration-card-given-by-government-now-ration-withdrawal-has-become-more-easier

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী রেশন ব্যবস্থার আওতায় সমগ্র দেশের প্রায় ৮০ কোটি সাধারণ মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চাল, গম সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য পেয়ে থাকেন। সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণ যাতে কোনোরকম সমস্যা ছাড়াই তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারে তার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এইরূপ রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। যদিও সাধারণ মানুষের সুবিধার দিকটি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী রেশন ব্যবস্থায় বারংবার বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। আর এবারে আদালতের নির্দেশে ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য রেশন ব্যবস্থায় আরও এক বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে বলেই দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে (Big update about Ration Card)।

আদালতের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, যেসকল পরিযায়ী শ্রমিকদের এখনো পর্যন্ত রেশন কার্ড নেই যতো দ্রুত সম্ভব তাদের রেশন কার্ড প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থাৎ যেসকল পরিযায়ী শ্রমিকরা খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাভুক্ত নয় তাদের নতুন করে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাভুক্ত করে রেশন কার্ড প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে (Big update about Ration Card)। বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী ভিনরাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে কোনোরকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্যই এই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে আদালতের তরফে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে। এই সকল সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে যে, ইতিপূর্বে ২৮.৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক ই-শ্রম পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এই সমস্ত শ্রমিকদের মধ্যে ৮ কোটি শ্রমিকের কোনোরূপ রেশন কার্ড নেই।

big-update-about-ration-card-given-by-government

আর এই খবর প্রকাশ্যে আসা মাত্রই বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি আশানউদ্দিন আমানুল্লাহার -এর তরফে এক বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী যেসকল পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন কার্ড নেই তারা যাতে জাতীয় সুরক্ষা কমিশন এবং রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী সমস্ত রকম সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি এই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাভুক্ত করার জন্য জাতীয় সুরক্ষা কমিশন ও ই-শ্রম পোর্টালকে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিচারপতিদের তরফে কার্যকরী এই নির্দেশিকায়।

আরও পড়ুন:- বদলে গেল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়ার নিয়ম। নতুন নিয়ম সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নিন।

তবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে ন্যস্ত করা হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকারের উপর, এমনটাই জানা গিয়েছে বিচারপতিদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এই নয়া নির্দেশিকা মারফত। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, করোনা মহামারীর সময় ভিনরাজ্য থেকে নিজের রাজ্যে ফেরার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতির কথা স্মরণ করেই বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি আশানউদ্দিন আমানুল্লাহার এর তরফ এই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে।

আরও পড়ুন:- নতুন করে যারা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আবেদন করেছে? তাদের নাম স্বাস্থ্য সাথীর লিস্টে চেক করুন এই পদ্ধতিতে।

এমনকী ইতিপূর্বে কার্যকরী ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ড ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে সমগ্র দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে রেশন সংগ্রহ করতে পারে তার দিকেও বিশেষভাবে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে। খুব শীঘ্রই বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন কার্ড পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যক্তিত্বদের তরফে। ইতিমধ্যেই আদালতের তরফে জারি করা এই নির্দেশিকা নিয়ে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে। আদালতের এই নতুন নির্দেশে যথেষ্ট খুশি হয়েছেন সমগ্র দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিক সহ সাধারণ মানুষ।

সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আজই যুক্ত হন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে- Link