change-apl-ration-card-to-bpl-ration-card-by-the-help-of-state-government

সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকদের সুবিধার দিকটি মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। অন্যদিকে, ভারতবর্ষের নাগরিকদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রেশন দোকান থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চাল, গম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আর পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী নাগরিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনুসারে সুবিধার জন্য AAY, SPHH, PHH, RKSY I এবং RKSY II এই ৫ ধরনের রেশন কার্ড কার্যকরী করা হয়েছে। এই কার্ড গুলির মধ্যে RKSY II বাদে বাকি সমস্ত কার্ডগুলি বিপিএল কার্ড (APL Ration card to BPL Ration Card)।

অনেক ক্ষেত্রেই নানাবিধ সমস্যার কারণে বিপিএল তালিকার আওতাভুক্ত ব্যক্তিরাও APL রেশন কার্ড অর্থাৎ RKSY II রেশন কার্ড পেয়ে থাকেন। ফলত তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হলেও তারা যথেষ্ট পরিমাণে রেশন পান না। আর তাতেই এই সমস্ত নাগরিকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকী অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের প্রধানের রেশন কার্ড বিপিএল হলেও অন্যান্য সদস্যদের রেশন কার্ড এপিএল ক্যাটাগরি ভুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে কিভাবে এপিএল রেশন কার্ডকে বিপিএল রেশন কার্ডে পরিবর্তন (APL Ration card to BPL Ration Card) করা সম্ভব তা নিয়ে রাজ্যবাসীর মধ্যে প্রশ্নের অন্ত নেই।

সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link

রাজ্যবাসীর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে বারংবার অভিযোগ জানানো হয়েছিল রাজ্যবাসীর তরফে। আর তাতেই রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে এক নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নবান্নের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় সমগ্র রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্য জানানো হয়েছিল যে, একই পরিবারের সদস্যদের রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি পৃথক পৃথক হলে রাজ্য সরকারের তরফে দায়িত্ব সহকারে পরিবারের প্রধানের রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি অনুসারে প্রত্যেকটি সদস্যের রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।

গরম কালে শুরু করুন এই ব্যবসা। মাস গেলে ইনকাম হবে ৫০ হাজার টাকারও বেশি।

আর বর্তমানে রাজ্য সরকারের তরফ সেই প্রক্রিয়া কার্যকরও করা হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত তথ্য। সুতরাং, আপনার পরিবারেও যদি পরিবারের প্রধান এবং অন্যান্য সদস্যদের রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি আলাদা হয়ে থাকে তবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই রাজ্য সরকারের তরফে রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কাজটি যতো দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে বলেই দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সূত্র। রেশন কার্ড শুধুমাত্র রেশন দোকান থেকে চাল, গম পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হয় এমনটা নয়। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি কাজের ক্ষেত্রেও রেশন কার্ড প্রয়োজন হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে একই পরিবারের সদস্যদের ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি রেশন কার্ড হলে তা যথেষ্ট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় রাজ্যবাসীর কাছে। আর এমতাবস্থায় নবান্নের তরফে সমগ্র রাজ্যের জনগণের স্বার্থে এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় যথেষ্ট খুশি হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ নাগরিকরা।