একদিকে যেমন বাঙালির নতুন বছর শুরু হয়েছে, অন্যদিকে ঠিক তেমনভাবেই শুরু হয়েছে নতুন অর্থবর্ষ। আর এই নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে যেমন একগুচ্ছ প্রকল্প লঞ্চ করা হয়েছে, অন্যদিকে ঠিক তেমনভাবেই রাজ্যজুড়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পও কার্যকর করা হয়েছে। তবে এবারে সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে আরো এক নতুন প্রকল্প লঞ্চ করা হলো, যার মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকরা যথেষ্ট লাভবান হতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী নতুন প্রকল্পটি নিয়ে রাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। যার জেরে এই নতুন প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে নানাধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছি।
রাজ্য সরকার জারি করা তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এই নতুন প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মতোই হেলথ স্কিমের সুবিধা পাবেন রাজ্যবাসী। রাজ্য সরকারের তরফ জারি করা তথ্য অনুসারে আরো জানা গিয়েছে যে, পঞ্চায়েত কর্মীদের হেলথ স্কিমের আওতায় আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। আর এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পঞ্চায়েতের কর্মীদের হেলথ স্কিমের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো রাজ্য সরকারের তরফে। এক্ষেত্রে আরো জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জেলা পরিষদ, মহকুমা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ফেডারেশনের ৩০,০০০ কর্মী এবং ২০,০০০ পেনশনভোগী কর্মী অর্থাৎ মোট ৫০ হাজার কর্মী রাজ্য সরকারের এই নতুন স্কিমের সুবিধা পেতে চলেছেন। এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসায় অন্য যে প্রশ্নটি উঠছে তা হলো, নবান্নের তরফে কার্যকরী এই নতুন প্রকল্পের আওতায় পঞ্চায়েত কর্মীরা কি কি সুবিধা পেতে চলেছেন?
আরও পড়ুনঃ- আপনি আবাস যোজনায় ঘর পাবেন কিনা দেখবেন কিভাবে? জেনে নিন পদ্ধতি।
আর রাজ্যবাসীর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফেই দেওয়া হয়েছে। নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে জানা গিয়েছে যে, রাজ্যজুড়ে আবারও স্বমহিমায় ফিরছে করোনা ভাইরাস। আর এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত কর্মীদের করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর হবে এই নতুন স্কিম। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকা গরমের তীব্র দাবদাহ এবং তাপপ্রবাহের মধ্যেই পঞ্চায়েত কর্মীদের রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নানাধরনের কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এমতাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লেও রাজ্য সরকারের এই নতুন স্কিম যথেষ্ট কার্যকর হবে।
সমগ্র ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণ বর্তমানে যে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মূল্য বৃদ্ধির সম্মুখীন হয়েছেন তাতে ঘরে বাইরে সমস্ত দিক সামলে উঠতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ জনগণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং বেসরকারি কর্মচারীদের। আর এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত কর্মীদের জন্য এই নতুন হেলথ স্কিম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যথেষ্ট সাধুবাদ পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য সাথী আওতায় বরাদ্দও বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ একদিকে যেমন সাধারণ জনগণের সুবিধার দিকটি মাথায় রাখা হয়েছে, অন্যদিকে ঠিক তেমনভাবেই পঞ্চায়েতের কর্মীদের সুবিধার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে।