ভারতীয় রেলের কোন কোটায় টিকিট কাটলে আপনার টিকিট অবশ্যই নিশ্চিত হবে জানেন কী! ট্রেনের যাত্রার সময় আপনার টাকা থাকলেও টিকিট কাটার দুমাস আগে চেষ্টা করেও টিকিট পাননা। এই সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দামে তৎকাল টিকিট কাটতে হয়। আবার অনেক সময়ই তাতে না হলেও এজেন্টদের অনেক টাকা দিয়ে এই কাজ করাতে হয়। শুধুমাত্র যে ছুটির সময় গুলোতে এই সমস্যা হয় তা নয়। সারাবছর অনেকেই ভিন রাজ্য থেকে কর্মস্থলে যাতায়াত করে কিন্তু তাদের নিরুপায় হয়ে ফিরে যেতে হয়। ফ্লাইটের টাকা দেওয়ার মতো অবস্থা কোনো মধ্যবিত্তেরই থাকেনা। কিন্তু এই ট্রেনেই এন্ড টু এন্ড নামে একটা কোটা আছে যেখানে ৭০ শতাংশ রিজার্ভেশন থাকে।
এইরকমই রেলের একাধিক কোটা থাকে যেগুলো আমরা সাধারণভাবে জানিনা। তাই চেষ্টা করে এই কোটাগুলি মাঝেমাঝে দেখতেই পারেন। এখানের ভাড়াও তৎকালের মতো দ্বিগুণ হয়না। ১০০-২০০ টাকা আপনাকে মাত্র বেশি দিতে হয়। কিন্তু এর জন্য আপনাকে বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। যেমন ধরুন আপনি হাওড়া থেকে ভাইজ্যাগ যাওয়ার ট্রেনে টিকিট কাটলেন এর জন্য আপনি যদি বালেশ্বরে নেমে যাওয়ার টিকিট কাটেন এই সুবিধা পাবেননা। আপনাকে ভাইজ্যাগের নিকটবর্তী কোনো স্টেশন অবধি অবশ্যই যাত্রা করতে হবে। অর্থ্যাৎ শেষ স্টেশনের নিকটবর্তী স্টেশন যারা যেতে চান তারাই একমাত্র এই সুবিধা পাবে। এই কোটা তে টিকিট কাটার আগে আবেদনের পদ্ধতি অবশ্যই সঠিকভাবে দেখে নিন।
আরও পড়ুন:- লোনের টাকা নিয়ে গ্রাহকের ওপর হেনস্থা করতে পারবে না ব্যাঙ্ক। নতুন নির্দেশ জারি করলো অর্থমন্ত্রী।
তবে আপনাদের আর কারোর উপর নির্ভর করতে হবেনা টিকিট কাটার জন্য। এখন থেকে আপনারাই এই কাজ করতে পারার পথ খুঁজে পেলেন। তবে অনেক জায়গাতেই যাওয়ার ভারতীয় রেলের ট্রেনের সংখ্যা খুবই কম সেই ক্ষেত্রে আপনাকে সমস্যায় পড়তেই হবে। মানুষের চাহিদার সাথে যোগান না দিতে পারার ব্যার্থতা।