এলপিজি সিলিন্ডারের ভর্তুকি অর্থাৎ সাবসিডি পেতে যাতে গ্রাহকদের কোন অসুবিধা না হয় সেই দিকে এবার নজর দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত কয়েক বছরে লাগামহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এলপিজি রান্নার গ্যাসের দাম। নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে মধ্যবিত্তের। তবে এই লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি থেকে গ্রাহকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বলেন, ভারত রান্নার এলপিজি খরচের ৬০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে বাইরে থেকে। দেশে এলপিজির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে এর দামের সঙ্গে যুক্ত। ক্রমাগত কেন গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পারছে তা নিয়ে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি জানান উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় যারা গ্যাস প্রতি ভর্তুকি পান তাদের টাকা যেন সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই ঢোকে সেই নিয়ে সচেষ্ট কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবষর্ষের জন্য বছরে, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের বারোটি পর্যন্ত সিলিন্ডারে (১৪.২ কেজির সিলিন্ডার পিছু) ২০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে।
করোনা পরবর্তী সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন যে তারা সময়মতো গ্যাসের ভর্তুকি পাচ্ছেন না। প্রায় তিন বছর হতে চললেও এতদিন পর্যন্ত তা নিয়ে কোনরকম ব্যবস্থা নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরির বক্তব্যে স্পষ্ট, বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট বিবেচনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং খুব শীঘ্রই এর সমাধান হতে চলেছে।
আরও পড়ুন:- রাজ্যে আরো এক অতিরিক্ত ছুটি ঘোষণা রাজ্য সরকারের। কবে ছুটি জেনে নিন।
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যাওয়া সত্ত্বেও দাম কমার লক্ষণ নেই কেন। রাজ্যসভায় উদাহরণস্বরূপ বিপক্ষের সাংসদ তুলে ধরেন, চেন্নাইতে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১০৬৮.৫০ টাকা, তারপর তা বেড়ে হয় ১১১৮.৫০ টাকা। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত এই একই দাম রয়েছে। দিল্লিতে ২০২০ সালের মে মাসে ১৪.২ কেজির রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের ছিল ৫৮১ টাকা। বর্তমানে সেই দাম বেড়ে পৌঁছেছে ১১০৩ টাকায়। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান সৌদি আরবে প্রোপেনের দাম, তা ২০২১ অর্থবর্ষে ৪১৫ ডলার থেকে ২০২৩ অর্থবর্ষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১২ ডলারে। এটি বেঞ্চমার্ক মূল্য হওয়ায় বর্তমানে গ্যাসের দাম কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়।