পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বসবাসকারী সাধারণ নাগরিকরা যাতে রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী সমস্ত প্রকল্পগুলির সুবিধা নিজেদের হাতের মুঠোয় পেতে পারেন তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) কার্যকরী করা হয়েছিল। তবে আগামী এপ্রিল মাসে যে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) আয়োজিত হতে চলেছে তাতে রাজ্য সরকারের তরফে এমন এক বিশেষ পরিষেবা প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে সমগ্র রাজ্যের নাগরিকরা আখেরে লাভবান হতে চলেছেন।
রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকর বিভিন্ন প্রকল্পগুলির আওতায় নাগরিকদের আবেদনের ক্ষেত্রে নানাধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, এমনকী অনেকক্ষেত্রেই এই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সঠিকভাবে সমস্ত তথ্য না জানার কারণে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ জনগণ এই প্রকল্পগুলির আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন না। আগামী দিনে যাতে রাজ্যবাসীকে এইরূপ সমস্যাগুলির সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্যই একুশের নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দুয়ারে সরকার প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। আর ইতিমধ্যেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে নবান্নের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, আগামী এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে অর্থাৎ নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প কার্যকর করা হবে রাজ্য সরকারের তরফে এবং এই ক্যাম্প শেষ হতে চলেছে এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ অর্থাৎ ২০শে এপ্রিলে।
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে আরো জানানো হয়েছে যে, আগত এপ্রিল মাসে যেসমস্ত ক্যাম্পগুলির আয়োজন করা হবে তাতে নতুন চমক হিসেবে থাকতে চলেছে চোখের আলো কর্মসূচির সুবিধা। অর্থাৎ আগামী মাসে দুয়ারে সরকারে ক্যাম্প থেকেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজেদের চক্ষু পরীক্ষা করাতে পারবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। আগামী মাসে দুয়ারে সরকারের যেসমস্ত ক্যাম্প আয়োজিত হতে চলেছে সেই সমস্ত ক্যাম্পগুলিতে যাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রাজ্যের সাধারণ জনগণের চোখ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যায় তার জন্য নবান্নের তরফে রাজ্যের সমস্ত জেলাগুলির জেলাশাসক ও CMOH-দের চিঠি পাঠানো হয়েছে। চক্ষু পরীক্ষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের যাতে কোনোরকম সমস্যার সম্মুখীন হওয়া হতে হয় তার জন্য সম্ভাব্য সকলরকম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে জেলাশাসক সহ CMOH-দের।
ফোন পে-গুগল পে তে টাকা পাঠিয়েছেন কিন্তু গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়নি টাকা? কি করবেন জেনে নিন।
বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, চোখের আলো কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসার জন্য নাগরিকদের সর্বপ্রথম দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে। ৩ দিনের মধ্যে উক্ত আবেদনকারীর চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আরও জানা গিয়েছে যে, ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে এবং তার চেয়ে কমবয়সী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ভিন্নভাবে চোখে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। এমনকী কোনো আবেদনকারীর যদি চোখের ছানি কাটানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকেই ছানি কাটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এখানেই শেষ নয়, প্রপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সাথে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলগুলির শিক্ষার্থীদের নামও যুক্ত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলগুলিতে যথাযথ আয়োজনের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীতে পাথরত ছাত্র-ছাত্রীদের চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে আরো জানানো হয়েছে যে, ১৭ই এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যবাসী এই সমস্ত ক্যাম্পগুলির অধীনে চক্ষু পরীক্ষার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এমনকী এই সমস্ত ক্যাম্পগুলিতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের আলাদাভাবে চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
এপ্রিল মাস থেকে বদলে যাচ্ছে এই ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। বিপদে পড়বার আগে জেনে নিন।
রাজ্য সরকারের এই নতুন উদ্যোগে আগামী দিনে সমগ্র রাজ্যের সাধারণ জনগণ যথেষ্ট সুবিধা পাবেন বলেই মনে করা হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে। অনেকক্ষেত্রেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রাম্য অঞ্চলে বসবাসকারী নাগরিকরা যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে নিজেদের চক্ষু পরীক্ষা করে উঠতে পারেন না। এমনকী অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যথেষ্ট টাকা না থাকার কারণে নাগরিকরা তাদের চোখের সমস্যার যথাযথ চিকিৎসা করে উঠতে পারেন না। আর তাতেই দুয়ারে সরকারের সাথে চোখের আলো কর্মসূচি যুক্ত করা হলে আগামী দিনে রাজ্যবাসী যথেষ্ট লাভবান হবে বলে দাবি করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।