চলতি সময়ে জীবন ধারণের জন্য বিভিন্ন তথ্য গুলির মধ্যে অন্যতম হলো আধার কার্ড। যা সমস্ত ভারতীয়দের সচিত্র পরিচয়পত্র।এই আধারের প্রয়োজন এখন শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকত্ব পরিচয়ের মধ্যে আবদ্ধ নেই। আধার কার্ড ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সমস্ত সরকারী পরিষেবা, প্রকল্প পাওয়ার জন্য, রান্নার গ্যাসের জন্য, পেনশনের সুবিধা এমনকী এনআরআইরা যদি দেশের কোনো ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলাতে চান তবে সেক্ষেত্রেও আধার কার্ড থাকা এখন আবশ্যিক।
সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link
তবে পূর্বে এই আধার কার্ড সদ্যোজাত শিশু ও ৫ বছরের কমবয়সী বাচ্চাদের জন্য উপলব্ধ ছিলো না। ২০১৮ সাল থেকে UIDAI ( Unique Identification Authority Of India) সদ্যোজাত শিশু সহ ৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের জন্য চালু করেন এই ব্লু আধার কার্ড (Blue Aadhaar Card), যা বাল আধার কার্ড নামেও পরিচিত।
শিশুদের এই ব্লু আধার কার্ডে (Blue Aadhaar Card) ও ১২ সংখ্যার ইউনিক আইডেন্টিটি নাম্বার থাকে তবে শিশুদের আইরিস ও আঙ্গুল ছাপ স্ক্যান করার প্রয়োজন হয় না। এই আধার কার্ডটি নীল রঙের হয় বলে এটিকে ব্লু আধার কার্ড বলা হয়।
উল্লেখ্য, এই ব্লু আধার কার্ডের সময়সীমা পাঁচ বছর অব্দি হলেও শিশুর অভিভাবকরা নির্দিষ্ট নিয়মাবলী পালন করে ৫ বছর বয়স পার হয়ে গেলেও শিশুর বৈধ পরিচয়পত্র হিসেবে এটিকে পেশ করতে পারেন প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে। তবে যখনই শিশুর বয়স ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাবে ব্লু কার্ড টিকে আপডেট করতে হবে, নইলে কার্ডটি অচল হয়ে পড়বে আর এই আপগ্রেডশন এর জন্য অতিরিক্ত কোনো চার্জ নেওয়া হবে না।
নতুন পদ্ধতিতে আবেদন করুন রুপশ্রী প্রকল্পে এবং ২৫ হাজার টাকা পেয়ে যান সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে
ব্লু আধার কার্ড তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস :-
১. সন্তানের মা বাবার আধার কার্ড।
২. শিশুর বার্থ সার্টিফিকেট।
৩. শিশুর ঠিকানার প্রমাণপত্র।
৪. যদি শিশুর স্কুল আইডি কিছু থাকে তাহলে সেটির প্রয়োজন পড়বে।
এই ডকুমেন্টস গুলির আসল ও জেরক্স কপি উভয়ই দরকার হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া :-
১. সবার প্রথমে UIDAI এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://uidai.gov.in/ -এ যেতে হবে
২. এরপর Adhar Card Registration অপশনটি ক্লিক করতে হবে।
৩. এরপরে শিশুর মা বাবার নাম, ফোন নাম্বার, ইমেইল অ্যাড্রেস, শিশুর ঠিকানা সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
৪. তারপর নিকটবর্তী UIDAI সেন্টার খুঁজতে হবে এবং নিজের সুবিধা মতন এপয়েন্টমেন্ট ডেট বুক করে নিতে হবে।
৫. নির্দিষ্ট দিনে সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম দেওয়া হবে।
৬. শিশুর নাম, মা-বাবার ফোন নাম্বার সহ বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে।
৭. শিশুর ফটো তোলা হবে।
৮. এরপর ফর্মটি জমা করে দিতে হবে।
৯. এরপর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শিশুর ব্লু আধার কার্ড তৈরি হয়ে যাবে।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়মে আনা হলো বিরাট পরিবর্তন। এবার টাকা তুলতে গেলেই কাটবে অতিরিক্ত চার্জ।
প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় সরকারের ব্লু আধার কার্ড পরিষেবা প্রদান করার সিদ্ধান্ত আমাদের দেশের শিশুদের শুধু সচিত্র পরিচয়পত্রর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে তা নয়, সেই সঙ্গে শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এর জন্য নানানরকমের সুবিধা পাওয়ারও সুযোগ এনে দিচ্ছে।