how-to-earn-money-by-creating-a-youtube-channel

বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ট্যুইটার থেকে শুরু করে ইউটিউবের মতো অ্যাপগুলি যুব সমাজের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে সমগ্র পৃথিবীকে। তবে শুধুমাত্র সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট হিসেবে যে এই সমস্ত অ্যাপগুলি জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা নয়, বাড়িতে বসে রোজকারের অন্যতম এক মাধ্যম হিসেবেও এই অ্যাপগুলি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলির মধ্যে অন্যতম একটি জনপ্রিয় অ্যাপ হলো ইউটিউব (Youtube Channel)। করোনা মহামারী এবং লকডাউনের সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী যুবক-যুবতীরা বাড়িতে বসে ইউটিউবের মাধ্যমে টাকা উপার্জনের দিকে ঝুঁকেছেন। সুতরাং, এখন আপনিও চাইলেই বাড়িতে বসে নানাধরনের ইউটিউব ভিডিও (Youtube Channel) তৈরি করার মাধ্যমে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন।

তবে ইউটিউব ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন বিষয়ের ওপর ভিডিও তৈরি করবেন। টেকনোলজি, ট্রাভেল ব্লগ, নাচ, গান, শর্ট ফিল্ম, রান্নার রেসিপি সহ আরো নানাধরনের বিষয় রয়েছে যেগুলির ওপর আপনি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করলে একদিকে যেমন দর্শকদের সুবিধা হবে, দর্শকরা অত্যন্ত দ্রুত নিজের পছন্দ কন্টেন্ট খুঁজে পেতে পারবেন। অন্যদিকে আপনারও কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে কোনোরকম অসুবিধা হবে না, এমনকী এভাবে আপনার চ্যানেল দ্রুত দর্শকদের মধ্যে পরিচিতি পাবে। এর পাশাপাশি আরো মনে রাখতে হবে যে, ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে যতোটা সম্ভব ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড রাখার চেষ্টা করবেন এবং বাইরের অযাচিত আওয়াজ যাতে ভিডিওতে না আসে সেই ব্যবস্থা করা অত্যন্ত আবশ্যক। এর ফলে আপনার চ্যানেলের ভিডিওর ভিউজ অত্যন্ত দ্রুত হারে বাড়বে।

সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link

ইউটিউবে ভিডিও তৈরির পাশাপাশি আপনি যে বিষয়ের চ্যানেল তৈরি করতে চাইছেন তার উপরে নানা ধরনের শর্টস ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমেও আপনি যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কোলাবোরেশন করে তাদের ব্র্যান্ডের প্রমোশন করার মাধ্যমেও আপনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও লাইভ স্ট্রিমিং, লাইভ চ্যাট, প্রিমিয়ারের মাধ্যমেও দর্শকদের আকর্ষণ করে নিজের চ্যানেলের ভিউজ বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে যথেষ্ট টাকা আয় করতে পারবেন। তবে youtube -এর মাধ্যমে আয় করার জন্য আপনাকে নিজের youtube চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং সেই চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার মধ্যে দিয়ে youtube -এর মনিটাইজেশন পেতে হবে, তবেই আপনার চ্যানেল থেকে আপনি যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় APL রেশন কার্ডকে BPL রেশন কার্ডে পরিবর্তন করুন

আপনার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার জন্য প্রথমেই আপনাকে প্রথমে youtube অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিয়ে অ্যাপটি খুলে নিতে হবে। পরবর্তীতে আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইউটিউব অ্যাকাউন্টে লগইন করে নিতে হবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টের আইকনে ক্লিক করতে হবে এবং নিচে থাকা অপশনগুলির মধ্যে থেকে Your Channel অপশনটি নির্বাচন করে নিতে হবে। পরবর্তীতে আপনার সামনে যে পেজটি আসবে তাতে আপনাকে আপনার চ্যানেলের নামটি লিখে এবং আপনার চ্যানেলের আইকনটি আপলোড করে Creat Channel অপশনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে।

এরপর এই চ্যানেলে আপনাকে নিজস্ব ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে। ১ বছরে যদি আপনার ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪,০০০ পাবলিক ওয়াচ টাইম হয়ে যায় তবে আপনিও ইউটিউব মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকে এবং ৯০ দিনে ইউটিউব শর্ট ভিডিওতে ১০ মিলিয়ন ভিউজ থাকে তাহলেও আপনি আপনার চ্যানেলের মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন, এমনটাই জানানো হয়েছে ইউটিউবের তরফে প্রকাশিত নয়া গাইডলাইন অনুসারে।

গরম কালে শুরু করুন এই ব্যবসা। মাস গেলে ইনকাম হবে ৫০ হাজার টাকারও বেশি।

আর আপনার চ্যানেলটি একবার মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে আপনিও আপনার ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করে নিতে পারবেন। তবে দ্রুত সাবস্ক্রাইবার এবং পাবলিক ওয়াচ টাইম বাড়ানোর জন্য যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো, আপনার চ্যানেলের ভিডিও যেনো যথেষ্ট উন্নত মানের এবং সঠিক তথ্যসমৃদ্ধ হয়, নতুবা আপনি কোনোভাবেই দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবেন না।