(১/৪) বর্তমানে অন্য সমস্ত কিছু ছাড়াও জীবন চলতে পারে, কিন্তু ইন্টারনেট ছাড়া যুবসমাজ থেকে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি কিংবা কিশোর প্রত্যেকেরই জীবন অচল। আর উত্তরবঙ্গ জুড়ে পরপর ঘটে চলা বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা উত্তরবঙ্গের সাধারণ জনগণ আগামী বেশ কিছুদিন ইন্টারনেট কানেকশন পাবেন না, এমনটাই জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জারি করা তথ্য অনুসারে। ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ্যে আসায় কি কারণে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে এরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানতে উত্তরবঙ্গ সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রীতিমতো উৎসুক হয়ে উঠেছে। এমনকী এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্নেরও শেষ নেই। যার কারণে আজ আমরা আজকের এই পোস্টে গোটা উত্তরবঙ্গে আগামী দিনে কেনো ইন্টারনেট বন্ধ থাকতে চলেছে তার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে চলেছি।
(২/৪) বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, নাবালিকা খুনের ঘটনায় যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। আর তা নিয়েই স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ক্ষোভ জমেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। এমনকী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেও ছাড়েননি উত্তরবঙ্গে সাধারণ জনগণ। তবে এখানেই শেষ নয়, নাবালিকার মৃত্যুর কয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশের গুলিতে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়। আর তাতেই জনরোষের মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশ সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের। শুধুমাত্র সাধারণ জনগণ নয়, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে বিজেপি নেতা সহ অন্যান্য পার্টি কর্মীরা। তাদের দাবি উক্ত যুবক বিজেপির এক পার্টি কর্মী ছিল। আর সেই যুবককে গুলি করে খুন করায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্রদর্শন করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন:- নবান্ন স্কলারশিপে আবেদন করলেই প্রত্যেক বছরে পেয়ে যাবেন ১০,০০০ টাকার অনুদান।
(৩/৪) এই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির অন্যান্য কর্মকর্তা সহ পার্টিকর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনে রাস্তায় নেমেছেন। এমনকী বিজেপির তরফে ১২ ঘণ্টা সমগ্র উত্তরবঙ্গ বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমনকী এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজবংশী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের উপর অত্যাচারের কথাও আরও একবার চর্চায় এসেছে। তবে শাসক দলের ব্যক্তিত্বদের কথায় ঠিক উল্টো সুর ধরা পড়েছে। তাদের মতে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। আর তাতেই তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এই ১২ ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বন্ধ ব্যর্থ করার জন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকী বিজেপির এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের কারণে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে।
(৪/৪) বিভিন্ন এলাকা জুড়ে পুলিশি পাহারা বাড়ানোর পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এমনকী যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে রাজ্য সরকারের তরফে ইন্টারনেট বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাতেই আজ থেকে অর্থাৎ ২৭শে এপ্রিল থেকে চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০শে এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ জুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে বলেই জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।