পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যবাসীর সুবিধার দিকটি মাথায় রেখে জয় বাংলা পেনশন স্কিমের (Joy Bangla Pension Scheme) অধীনে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে এবারে রাজ্যব্যাপী যেসমস্ত ব্যক্তিরা এই তিনটি প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেয়ে থাকেন তাদের একটি বিশেষ কাজ সম্পন্ন করতে হবে, তা না করলে তারা কোনোভাবেই প্রকল্পের অনুদান পাবেন না বলেই জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে।
রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী অন্যান্য প্রকল্পের মতোই বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার (Joy Bangla Pension Scheme) অনুদান প্রাপকদের মধ্যেও বেশ কিছু ব্যাক্তি রয়েছেন যাদের এই প্রকল্পগুলির আওতায় অনুদান পাওয়ার যোগ্যতা না থাকলেও তারা বর্তমানে এই প্রকল্পগুলির আওতায় অনুদান পেয়ে থাকে। আর এই ধরনের অনিয়ম বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে এই তিনটি প্রকল্পের আওতায় থাকা অনুদান প্রাপকদের যাচাইকরণের প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। যদিও এই সমস্ত উপভোক্তাদের যাচাইকরণের প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট ঢিমেতালে চলছে বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে।
আর তাতেই এবার এই তিনটি প্রকল্পের আওতায় থাকা উপভোক্তাদের যাচাইকরণের প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এর পাশাপাশি আরো জানা গিয়েছে যে, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় থাকা সমস্ত উপভোক্তাদের আধার নম্বর আপলোড করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা চলছে ব্লক প্রশাসনের তরফে। বিভিন্ন জেলাগুলিতে বর্তমানে এই সমস্ত উপভোক্তাদের আধার নম্বর আপলোডের কাজ চলছে, তবে সেই কাজটি যাতে দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ হয় তা নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে নবান্ন।
বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকার চালু করলো নতুন প্রকল্প। আবেদন করলেই পাওয়া যাবে ৫০০০ টাকা
এই তিনটি প্রকল্পের আওতায় কোনো অযোগ্য আবেদনকারী যাতে অনুদান না পায় তা নিশ্চিত করার জন্যই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, বর্তমানে প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসনগুলি কতোটা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে তা নিয়েও চিন্তিত রাজ্য সরকার। আর তাতেই ইতিপূর্বে রাজ্য সরকারের তরফে আয়োজিত এক বৈঠকে প্রতিটি জেলার উপভোক্তাদের আধার সংগ্রহের যে কাজ চলছে তার অগ্রগতি যাচাই করা হয়েছিল। আর এই বৈঠকে জানা গিয়েছে যে, বিধবা ভাতার আওতায় থাকা ৫২ শতাংশ উপভোক্তার আধার যাচাইকরণের প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়েছে।
এর পাশাপাশি রাজ্যের ৭ টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেগুলিতে এই আধার যাচাইকরণের কাজ যথেষ্ট ধীর গতিতে চলছে। পাশাপাশি আরো জানানো হয়েছে যে, কোচবিহার এবং বীরভূম জেলা আধার যাচাইকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পিছিয়ে রয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, বার্ধক্য ভাতার ক্ষেত্রেও মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার এবং বীরভূমের মতো রাজ্যের বেশ কিছু জেলার নাম উঠে এসেছে যেগুলিতে আধার যাচাই করার প্রক্রিয়া রাজ্যের অন্যান্য জেলারগুলির তুলনায় যথেষ্ট ধীরে চলছে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বাড়ানো হলো ৪০০ টাকা। কারা কারা এই অতিরিক্ত টাকা পেতে চলেছেন জেনে নিন।
এছাড়াও আরো জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় পোর্টালে বিধবা ভাতা এবং বার্ধক্য ভাতা ৫ লক্ষ উপভোক্তার নাম থাকলেও বর্তমানে ৩ লক্ষ উপভোক্তাকে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে অর্থাৎ আগামী দিনে এই সমস্ত উপভোক্তারা কোনোভাবেই এই প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন না। অর্থাৎ যেসমস্ত উপভোক্তাদের আধার যাচাই করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি তাদের অযোগ্য বলে চিহ্নিত করা হবে। অর্থাৎ আপনিও যদি এই তিনটি প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেয়ে থাকেন এবং এখনও পর্যন্ত আপনার আধার কার্ড জমা না করে থাকেন তবে যতো শীঘ্র সম্ভব আপনার নিকটবর্তী বিডিও অফিসে আপনার আধার কার্ডের তথ্য জমা করুন। নতুবা আপনি কোনোভাবেই এই প্রকল্পের আওতায় অনুবাদ পাবেন না বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত রিপোর্টে।