পশ্চিমবঙ্গের যুবসমাজের উন্নয়নের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প কার্যকরী করা হয়েছে। আর এই সমস্ত প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি প্রকল্প হলো কর্ম সাথী প্রকল্প (Karma Sathi Prakalpa)। রাজ্য সরকারের তরফে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের যুবক-যুবতীদের আর্থিকভাবে সাবলম্বী করে তোলার উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ্যে আসায় রাজ্যের যুবক-যুবতী সহ অন্যান্য নাগরিকদের মধ্যে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। আর তাই আজকের এই পোস্টে আমরা কর্ম সাথী প্রকল্প সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি।
রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, কর্ম সাথী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের যুবক-যুবতীদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য কতোগুলি সহজ শর্তের অধীনে ঋণ দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের যুবক-যুবতীরা নিজেদের ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে যাতে আরও অনেক সংখ্যক মানুষের কর্মংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারে তার জন্যই রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রকল্পটি কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, কর্মসাথী প্রকল্পের অধীনে একজন যুবক-যুবতীকে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। আগামীদিনে রাজ্যের ১ লক্ষ যুবক-যুবতীকে এই প্রকল্পের আওতায় ২ লক্ষ টাকার অনুদান দেওয়া হবে, এমনটাই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যে, Karma Sathi Prakalpa এর আওতায় অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে, কেবলমাত্র ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী বেকার, কর্মহীন যুবক-যুবতীরাই এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। এর পাশাপাশি, এই প্রকল্পে আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের রাজ্য সরকারের তরফে স্বীকৃত যেকোনো বিদ্যালয় থেকে নূন্যতম অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হবে।
বাতিল করা হলো বহু আধার কার্ড৷ আপনার আধার কার্ড সচল রাখতে এখনই এই কাজটি করুন
এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, কর্ম সাথী প্রকল্পের আওতায় ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীর যেসকল তথ্যগুলি প্রয়োজন হবে তা হলো:-
১. ভোটার কার্ড
২. আধার কার্ড
৩. স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র
৪. আবেদনকারীর সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ফটো
৫. শিক্ষাগত যোগ্যতার সমস্ত প্রমাণপত্র