(১/৪) পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী কৃষকদের কৃষিকাজের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে রাজ্য সরকারের তরফে কৃষক বন্ধু প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত কৃষকরা জমির পরিমাণ অনুসারে প্রত্যেক বছর ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকার অনুদান পেয়ে থাকেন। ইতিপূর্বে নবান্নের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছিল যে, এই চলতি মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসেই পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী কৃষকদের খারিফ সিজনের টাকা দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা প্রকাশ করার পরই কৃষক বন্ধুর সুবিধাভোগী কৃষকদের মধ্যে আগামী দিনে তারা কবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন তা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকারের তরফে অফিসিয়াল ভাবে এই প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া হলেও কৃষক বন্ধুর আওতাভুক্ত কৃষকদের জন্য রয়েছে দারুণ সুখবর।
(২/৪) ইতিপূর্বে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল যে, ২০২৩ সালে অর্থাৎ চলতি বছরে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট থাকার কারণে কৃষক বন্ধু সহ অন্যান্য প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। আর তাতেই এবারে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা টাকা পাবেন। কিছুদিন আগে বিভিন্ন সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, ২৬শে এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রাজ্যে বসবাসকারী কৃষক বন্ধুর আওতাভুক্ত সমস্ত কৃষকদের খারিফ সিজনের অনুদান প্রদান করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খারিফ সিজনের অনুদান প্রদানের তারিখ অফিসিয়াল ভাবে ঘোষণা না করা হলেও এই সমস্ত দাবিতে সবুজ সংকেত দিয়ে গতকাল ২৬শে এপ্রিল কৃষক বন্ধুর আওতাভুক্ত ৯৪ লক্ষেরও বেশি কৃষককে ২৬০২ কোটি টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন:- আজ থেকে ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত গোটা উত্তরবঙ্গে ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ থাকতে চলেছে
(৩/৪) বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অনুদান ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়ে গিয়েছে। এমনকী ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বসবাসকারী কিছু সংখ্যক কৃষক এই প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেয়ে গিয়েছেন। যেসমস্ত কৃষকরা নতুন করে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করণের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তারাও এই চলতি মাসে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন বলেই জানানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। আর বর্তমানে বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, যেসমস্ত কৃষকরা ইতিপূর্বে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেয়েছেন তাদের আগে নতুন করে যেসমস্ত কৃষকরা এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের অনুদান প্রদান করা হবে। তবে কৃষক বন্ধুর আওতাভুক্ত নতুন কৃষক হোক বা পুরোনো কৃষক খারিফ সিজনের অনুদান সমস্ত কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
(৪/৪) কারণ কৃষক বন্ধুর আওতাভুক্ত ৯৪ লক্ষ্যেরও বেশি কৃষকের অ্যাকাউন্টে একেবারে টাকা ট্রান্সফার করা কখনোই সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে টাকা ট্রান্সফারের প্রক্রিয়া কার্যকর করা হলে বেশ কয়েকটি ধাপে কৃষক বন্ধুর অনুদানের টাকা কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এসে পৌঁছায়। সুতরাং, আপনিও যদি কৃষক বন্ধুর আওতাভুক্ত একজন কৃষক হয়ে থাকেন এবং এখনো পর্যন্ত খারিফ সিজনের অনুদানের টাকা না পেয়ে থাকেন তবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আগামী দিনে খুব শীঘ্রই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় অনুদান পেয়ে যাবেন, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের কর্তা ব্যক্তিদের তরফে।