সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কৃষক বন্ধু প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা তাদের জমির পরিমাণের উপর নির্ভর করে ৪০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। খরিফ এবং রবি, এই দুই সিজনেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে নবান্নের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসারে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোট থাকার কারণে খারিফ মরশুমের টাকা দেওয়ার সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। যার কারণ আগামী দিনে কবে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে টাকা পাওয়া যাবে তা জানতে রীতিমতো উৎসাহী হয়ে উঠেছেন সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা।
আর কৃষকদের এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় থাকা কৃষকরা চলতি মাসেই এই প্রকল্পের অনুদানের টাকা পাবেন। ইতিমধ্যেই প্রকল্পের কর্মকর্তাদের তরফে এই প্রকল্পের আওতাধীন যোগ্য কৃষকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে Account Valid করে দেওয়া হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি এই সমস্ত সূত্রের তরফে আরও একটি দাবি রাজ্যের নাগরিকদের সামনে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বদের মতে, এই চলতি মাসের শেষে অর্থাৎ আগামী সপ্তাহেই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খারিফ মরশুমের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
আরও পড়ুনঃ- ব্যাংক বা পোস্ট অফিস আপনাকে না জানিয়েই কেটে নিচ্ছে ৪৩৬ টাকা। এই সমস্যার সমাধান কি জেনে নিন।
এই সমস্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে নবান্নের এক প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কৃষক বন্ধু সহ অন্যান্য সামাজিক প্রকল্পের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ এই সমস্ত সূত্রের দাবি সঠিক হলে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খারিফ সিজনের টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে। এই সমস্ত রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, নতুন করে যেসমস্ত কৃষকরা কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন তারাও আগামী দিন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা পাবেন। তবে এই সমস্ত কৃষকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় অনুদানের টাকা পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। যদিও খারিফ সিজনের টাকা কবে দেওয়া হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কৃষি বিভাগ বা রাজ্য সরকারের তরফে কোনোরূপ তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে, ১লা এপ্রিল তারিখ থেকে শুরু করে ২০শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত দুয়ারে সরকার কার্যকর করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। তবে বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৩০শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর করা হয়েছে। অর্থাৎ ৩০শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের আওতায় আপনারা রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী পরিষেবাগুলি পেয়ে যাবেন। অন্যদিকে, যেসকল নাগরিকদের কৃষক বন্ধু প্রকল্প বা রাজ্য সরকারে তরফে কার্যকরী অন্য যেকোনো জনকল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কিত যেকোনো রকম অভিযোগ রয়েছে, তারা ৩০শে এপ্রিলের মধ্যে দুয়ারে সরকারের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ- এই গরমে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করে মালামাল হতে চান। শুরু করুন এই ব্যবসাগুলি।
রাজ্য সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখের মধ্যে কৃষকবন্ধু প্রকল্প সহ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরী অন্য যেকোনো প্রকল্প সম্পর্কিত সকল প্রকার অভিযোগের মীমাংসা করতে হবে। আর রাজ্য সরকারের এই নির্দেশিকা রাজ্যব্যাপী কৃষক এবং নাগরিকদের মনে আশা জাগাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন একদিকে যেমন কৃষকবন্ধু প্রকল্প সম্পর্কিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, অন্যদিকে ২৬শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে রাজ্য সরকারের তরফে এই প্রকল্পের অধীনে খারিফ মরশুমের টাকা দেওয়ার এই সমস্ত দাবিতেও সিলমোহর দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। তবে রাজ্য সরকারের তরফে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য প্রকাশ্যে না আনায় এই বিষয়টি নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন কৃষকবন্ধুর আওতাধীন কৃষকরা। আর তাতেই আগামী ২৬শে এপ্রিল, ২০২৩ তারিখে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের খারিফ সিজনের টাকা দেওয়া হবে কিনা তা জানতে রীতিমত মুখিয়ে রয়েছেন সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের কৃষক সহ সাধারণ জনগণ।