পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে নারী উন্নয়নের জন্য কার্যকর প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি প্রকল্প হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। আর পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মহিলাই এই প্রকল্পের অধীনে প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান পেয়ে থাকেন। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যাটি হলো রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আয়োজিত দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে এই প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হয়।
এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কার্যকরী লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করার পর মহিলারা কোনোভাবেই তাদের আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে পারেন না (Lakshmir Bhandar status check)। আর তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মহিলাদের এই সমস্যার সমাধানের জন্য এক বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী ব্যবস্থার মাধ্যমে আগামী দিনে বাংলার গৃহলক্ষ্মীরা বাড়িতে বসে খুব সহজেই তাদের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক নিতে পারবেন (Lakshmir Bhandar status check)। এমনকী এক্ষেত্রে কোনোরকম অ্যাপেরও প্রয়োজন হবে না। পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো স্তরের মহিলারাই নিজেদের বাড়িতে বসে যেকোনো ফোনের মাধ্যমেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের গৃহলক্ষ্মীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক (Lakshmir Bhandar status check) করার জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর (+91 3323341563) জারি করা হয়েছে। এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেই মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন। তবে এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস জানার জন্য আপনার স্বাস্থ্যসাথী নম্বর, আধার নম্বর, ফোন নম্বর এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত ডিটেইলস -এর প্রয়োজন হবে।
উপরোক্ত হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলেই আপনার কাছে এই সকল তথ্যগুলি জানতে চাওয়া হবে। আপনার সমস্ত তথ্যের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলেই আপনাকে আপনার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প স্ট্যাটাস জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও আপনি আপনার নিকটবর্তী দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশন আইডি দিলে উক্ত ক্যাম্পের কর্মীরাও আপনাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারবেন।
রাজ্য সরকারের তরফে গৃহীত এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের গৃহলক্ষ্মীদের খুশির জোয়ার বাঁধ ভেঙেছে। ইতিপূর্বে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে আবেদন জানালে সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা জানার ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা ছিলো লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পপের কর্তৃপক্ষের তরফে পাঠানো এসএমএস। তবে অনেক ক্ষেত্রেই নানাবিধ সমস্যার কারণে মহিলারা এই এসএমএস পেতেন না, তার ফলে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন কিনা তা জানাও সম্ভব হত না। আর তাই মহিলাদের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে বারংবার অভিযোগ জানানো হয়েছিলো। যার ফলস্বরূপ রাজ্য সরকারের তরফে এই নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।