২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রাজ্যের গৃহিণীদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করা হয়েছিলো (Lakshmir Bhandar update)। আর ইতিমধ্যেই রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে নিজের নাম নথিভুক্ত করে নিয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রকাশে আনা হয়েছে, যা নিয়ে রাজের মহিলারা যথেষ্ট ধন্ধে রয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন তথ্যটি সত্য এবং কোন তথ্যটি মিথ্যা তা বুঝতে না পারার কারণে বারংবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রাজ্যের গৃহলক্ষীদের। চলুন তবে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কিত এই সমস্ত তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া যাক,
ইতিপূর্বে দাবি করা হয়েছিলো যে, চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই রাজ্যের গৃহলক্ষ্মীদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পৌঁছে যাবে। তবে অনেকক্ষেত্রেই এখনও পর্যন্ত মহিলাদের অ্যাকাউন্টে এই প্রকল্পের অনুদানের টাকা না পৌঁছানোর কারণে যথেষ্ট ধন্ধে রয়েছেন তারা। আর তাই আগামীতে তারা কবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদানের টাকা পাবেন, আদেও লক্ষ্মীর ভান্ডারের অধীনে টাকা পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের গৃহিণীদের মধ্যে।
আর এই প্রশ্নের উত্তরে বলে রাখি যে, ইতিপূর্বে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিলো যে, জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ থেকে থেকে রাজের গৃহলক্ষ্মীদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুদানের টাকা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকরী করা হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি এও জানানো হয়েছিলো যে, এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। যদিও লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কর্তৃপক্ষের তরফে যতো দ্রুত সম্ভব এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আবেদন করুন টিএসডিপিএল সিলভার জুবিলী স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান বার্ষিক ১ লাখ টাকা
যেসমস্ত মহিলারা সমস্ত সঠিক তথ্য এবং নথি জমা করেছেন তারা খুব শীঘ্রই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে অনুদান পেতে চলেছেন বলেই জানা গিয়েছে। একই সাথে রাজ্যের সমস্ত মহিলার অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা ট্রান্সফার করা সম্ভব নয়। আর তাই ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে এই টাকা ট্রান্সফারের পদ্ধতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। সুতরাং, যারা এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে টাকা পাননি তারা খুব শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বারংবার বিভিন্ন সূত্র মারফত দাবি করা হয়েছিলো যে, এই নতুন বছরের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে মহিলাদের অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হবে। তবে এই তথ্য কোনোভাবেই সত্যি নয় বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। আগামী দিনেও মহিলারা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে আগের মতোই একই অংকের টাকা অনুদান হিসেবে পাবেন। আগের মতোই জেনারেল এবং ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলারা প্রত্যেক মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে অনুদান পাবেন।
যদিও যেসমস্ত মহিলাদের নাম বিধবা ভাতার অধীনে নথিভুক্ত রয়েছে তারা একই সাথে বিধবা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে টাকা পাবেন বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে অনুদানের টাকা বৃদ্ধি করা না হলেও বছরের শুরুতেই এই প্রকল্পের অধীনে অনুদান পাওয়ায় যথেষ্ট খুশি রাজ্যের মহিলারা।