একটা সময় এমন ছিল, যখন মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তার শেষ থাকতো না, পরীক্ষার সময় তো বটেই। পরীক্ষার পরবর্তী সময়েও অদ্ভুত এক ভাবনা জুড়ে থাকতো ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের চারদিকে। কিন্তু বর্তমানের ছবিটা যেনো একদমই অন্যরকম।
পরীক্ষা শেষে ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে ফুটে উঠছে চওড়া হাসি। নাহ এ হাসি ভালো পরীক্ষা দেবার জন্য নয়, এ হাসি পরীক্ষা খারাপ হবার পরেও অনায়াসে পাশ করে যাওয়া যাবে তাই ভেবে। এখানেই থেমে থাকেনি তারা, দোলের আগেই মা ও মেয়েরা মিলে স্কুল প্রাঙ্গনেই দোল উৎসবে মেতে উঠেছিলেন এদিন।
এমনই এক অদ্ভুত ঘটনা চোখে পড়লো দত্তপুকুরের কাশিমপুর বালিকা বিদ্যালয়ে৷ পরীক্ষা শেষের দিন যখন অভিভাবকের জিজ্ঞাসা করা হলো কি আশা করছেন মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে? এক ভদ্রমহিলা অতি উৎসাহের সঙ্গে উত্তর দিলেন মেয়ের অঙ্ক পরীক্ষাটা খুবই খারাপ হয়েছে, যদি সেটা ভালো হতো তবে ফার্স্ট ডিভিশনের একটা সুযোগ থাকতো। সাংবাদিক যখন জিজ্ঞেস করলেন তবে এখনই উৎযাপন? তখন ভদ্রমহিলা জানালেন পাশ করে যাবে জানি, দিদি তো বলেছেই সবাই পাশ। ফেল বলে কিছু নেই!
রাত পোহালেই টানা দুই দিন ছুটি পেতে চলেছেন সরকারি কর্মী সহ স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা
আরেকজন জানালেন আমাদের মেয়েরা ফার্স্ট ডিভিশন না পাক পাশ করে যাবে, দিদি আছে আমাদের মেয়েরা পাশ করবে।
‘এই সময়’ একটি ভিডিও আপলোড করতেই সাধারণ মানুষের বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল, কেউ পুরো ভিডিওটিকেই হাসির খোরাক হিসেবে দেখছে, আবার কেউ এই ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন রকম প্রশ্ন রেখেছেন। তবে যেটাই হোক না কেন, যে প্রশ্নটা শেষ পর্যন্ত থেকে যাবে সেটি হলো, এদের মধ্যে যদি কেউ একজন পাশ না করতে পারে?