major-change-has-been-issued-in-ration-shop

করোনা মহামারী চলাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী বিনামূল্যের রেশন ব্যবস্থায় সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে চাল, গম সহ অন্যান্য খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের তরকে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় জানা গিয়েছে যে, আগামী দিনে বিনামূল্যের রেশন ব্যবস্থায় (Ration shop) কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এক বিরাট পরিবর্তন আনা হবে।

ইতিমধ্যেই রেশন ব্যবস্থায় (Ration shop) পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমগ্র দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নাগরিকরা এই বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্টভাবে জানেন না, যার কারণে বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রেশন ব্যবস্থায় কি পরিবর্তন আনা হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। আর তাতেই আজকের এই পোস্টে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকরী রেশন ব্যবস্থা সংক্রান্ত এই নতুন নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি।

আরও পড়ুনঃ- আপনার কাস্ট সার্টিফিকেটে ভুল রয়েছে? কিকরে সেই ভুল ঠিক করবেন

সাধারণ নাগরিকদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে জানা গিয়েছে, আজ অর্থাৎ ২০শে এপ্রিল তারিখ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার রেশন দোকান থেকে পুষ্টিযুক্ত চাল বা ফর্টিফায়েড চাল দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। যদিও আজ অর্থাৎ ২০শে এপ্রিল থেকে রাজস্থানের বিভিন্ন জেলাতে পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হবে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন যে, সাধারণ মানুষের সুবিধার খাতিরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর দ্রব্যগুলি সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমেই সমগ্র দেশের জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশিত তথ্যে আরো জানানো হয়েছে যে, আগামী ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সমগ্র দেশে ৭৩৫ টি জেলার বিভিন্ন রেশন দোকান থেকে এই পুষ্টিযুক্ত চাল বা ফর্টিফায়েড চাল দেওয়ার ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

তবে পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণের প্রকল্প এই নতুন কার্যকর করা হয়েছে এমনটা নয়, ২০২১ সালের অক্টোবর মাস থেকে এই প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশের ২৬৯ টি জেলায় এই পুষ্টিযুক্ত চাল বা ফর্টিফায়েড চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। বাকি জেলাগুলিতেও অত্যন্ত দ্রুত এই চাল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। তবে এই চালের উৎপাদন নিয়ে মোটেই চিন্তিত নয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় খাদ্যসচিব সঞ্জীব চোপড়ার মতে, দেশে বর্তমানে যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিযুক্ত চাল উৎপাদিত হয়। সুতরাং, এই চালের উৎপাদন নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।

আরও পড়ুনঃ- জমির দলিলের সাথে শুরু হলো আধার লিঙ্ক। সকলকে করতে হবে।

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টযুক্ত পুষ্টিযুক্ত চাল বিতরণ করা হলে মহিলা এবং শিশুদের রক্তাল্পতার সমস্যা অনেকটাই কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তাদের তরফে। আর তাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এইরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট খুশি হয়েছে সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষ। আগামী দিনে রেশন থেকে বিনামূল্যে পুষ্টিযুক্ত চাল পাওয়া গেলে তা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপযোগী হবে। ফলত একদিকে যেমন বিনামূল্য রেশন প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করা যাবে, অন্যদিকে ঠিক তেমনভাবেই পুষ্টিযুক্ত চাল প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের দিকটিও নজরে রাখা যাবে, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যক্তিত্বরা।