সুখবর রাজ্যের কৃষকদের জন্য। ধানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ এরপর থেকে কৃষকরা চাইলে আরো বেশি দামে সরকারকে বিক্রি করতে পারবেন তাদের শস্য। এই মর্মে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর থেকে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কুইন্টাল প্রতি ধান ২০৪০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১৮৩ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে কোন কৃষক যদি এই ধান নিজের CPC, DPC বা মোবাইল CPC-তে বিক্রি করেন, সেক্ষত্রে তারা আরো কুড়ি টাকা বেশি পেতে পারেন। সব মিলিয়ে কৃষকরা কুইন্টাল প্রতি দাম পেতে পারেন ২২০৩ টাকা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কৃষকরা কোথায় বিক্রি করতে পারবেন এই ধান। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি কোন কৃষক যদি নিজের ধান বিক্রি করতে যান তাহলে তাকে সোজা চলে যেতে হবে খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের সমস্ত কিষাণ মাণ্ডিতে। তবে সেই কিষাণমন্ডি ছাড়াও সারা রাজ্যজুড়ে হাজারের বেশি ক্যাম্প এবং ৫০০-র বেশি মোবাইল CPC চালু করেছে রাজ্য সরকার। এর মাধ্যমে চাষীরা নিজেদের ধান খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। সকাল ন’টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ধান কেনার কাজ চলবে। কৃষকরা নিজেদের সংশ্লিষ্ট এলাকার ধান ক্রয় কেন্দ্র তে গিয়ে নিজেদের ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে কবে বিক্রি করবেন, সেই তারিখ কিন্তু আগে থেকে রেজিস্টার করিয়ে রাখতে হবে। কৃষক নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং মোবাইল ওটিপি দিয়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ রেজিস্টার করিয়ে রাখতে পারেন। মাথায় রাখবেন, ধান ক্রয় কেন্দ্র যেন আপনার জেলার মধ্যেই হয় এবং আপনি যেদিন রেজিস্টার করাবেন সেদিনই যেন গিয়ে বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন:- একলাফে DA বাড়লো ৪%, মুখে হাসি সরকারি কর্মচারীদের।
দাম বাড়ানোর পাশাপাশি আরও একটি সুখবর দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। দেখা যাচ্ছে এবার থেকে কৃষকদের থেকে আরো বেশি পরিমাণ ধান কিনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এখন আর সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল নয়, ৯০ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান সরকারকে বিক্রি করতে পারবেন একজন কৃষক। অর্থাৎ যারা ৪৫ কুইন্টাল বিক্রি করেছেন এবং কিছু অবশিষ্ট ধান রয়েছে তাদের কাছে সুবর্ণ সুযোগ। অবশিষ্ট ধান আপনারা চাইলে আজই বিক্রি করে ফেলতে পারেন রেজিস্ট্রেশন করিয়ে। তবে এখনো পর্যন্ত যারা ধান বিক্রি করেননি তারা সর্বোচ্চ ৯০ কুইন্টাল বিক্রি করতে পারেন।
বর্তমানে কৃষকদের সুবিধার কথা ভেবে এই ধান বিক্রির প্রক্রিয়া আরো সহজ সরল করা হয়েছে সরকারের তরফে। যেদিন কৃষক ধান বিক্রি করতে যাবেন সেদিনই তার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন এবং মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে প্রাপ্ত ওটিপি দিয়েই ধান বিক্রি করা যাবে। তবে মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে আধার লিঙ্ক যেন করা থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ধান বিক্রির পর তিন দিনের মধ্যেই টাকা কৃষকের রেজিস্টার্ড ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাবে।