পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির কারণে আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বহু শিক্ষক। আর এবারে এ সংক্রান্ত আরো একটি নতুন আপডেট প্রকাশ্যে আনা হলো, যার কারণে রাজ্যের নাগরিক সহ রাজ্যের শিক্ষা মহলের কর্তা ব্যক্তিদের চোখ কপালে উঠেছে।
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি ঘিরে বিতর্কের অন্ত নেই। আর এই বিতর্কের জেরে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়া থেকে শুরু করে আদালতের রায়ে অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া পর্যন্ত সমস্ত ঘটনারই সাক্ষী থেকেছে পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণ। তবে এবারে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে এমন এক বিষয় নিয়ে চর্চা শুরু করা হয়েছে, যা নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মধ্যে জল্পনা-কল্পনা এমনকী বিতর্কের শেষ নেই। তৃণমূল সরকারের আমলে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অনিয়ম সামনে আসায় এবারে বাম আমলে যেসমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল সরকার (Mamata Banerjee)।
বিভিন্ন সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, শুধুমাত্র তৃণমূল সরকারের আমলে যেসকল শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের নিয়োগ নিয়েই দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে তা নয়। ইতিপূর্বে ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা শিক্ষাক্ষেত্রে নিযুক্ত হয়েছেন তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সহ তৃণমূল শিবিরের তরফে। আর তাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাম আমলে কারা কারা নিয়োগ পত্র পেয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে উদ্যত হয়েছেন। যদিও পরবর্তীতে এই তালিকা অনুসারে কি করা হবে অথবা মুখ্যমন্ত্রীর আগামী পদক্ষেপ কি হতে চলেছে তার সম্পর্কে কোনো রূপরেখা প্রকাশ করা হয়নি তৃণমূল শিবির কিংবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। তবে রাজ্য সরকারের এই নয়া উদ্যোগ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন ১৯৯০ থেকে শুরু করে ২০১১ সালের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা।
আধার কার্ড আপডেট করতে লাগবেনা কোনো টাকা, জানালো UIDAI, এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে রাজ্য সরকার সহ পর্ষদকে। এমনকী ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বসবাসকারী বহু সংখ্যক শিক্ষক সহ শিক্ষাকর্মী চাকরি হারিয়েছেন। যদিও তা নিয়ে দ্বৈত অবস্থান রেখেছেন পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকরা। তবে অধিকাংশ নাগরিকই আদালতের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে। তবে তৃণমূল আমলের নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি এবারে বাম আমলের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও কাঁটাছেঁড়া হওয়ায় আগামী দিনে কি হতে চলেছে তা জানতের উৎসুক হয়ে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।