কখনো ব্যবসার জন্য, কখনো বাড়ি বানানোর জন্য, কখনো পড়াশোনার জন্য মানুষ লোন নিয়ে থাকেন। কোন ব্যক্তি লোন নেন কেননা তার কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নেই। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে মানুষ শখ করে লোন নেন না। কেননা লোন নিলেই বাড়তি সুদ দিতে হয় গ্রাহকদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যারা ঋণ নেন তারা সময়মত টাকা ফেরত দিলেও বেশ কিছু মানুষ আছেন যারা দিতে পারেন না। কিন্তু সেই মানুষের অসহায়তার কথা বুঝতে না চেয়ে তাদের ওপর জুলুম করে আর্থিক সংস্থাগুলি। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমবায় ব্যাংকের ওপরেও উঠেছে এই অভিযোগ।
তবে এবার এইসব দিন অতীত। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কড়া নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোন ঋণ গ্রহীতার সঙ্গে এমন কদর্য আচরণ করতে পারবে না আর্থিক সংস্থাগুলি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন একপ্রকার হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দিয়েছেন যদি এর অন্যথা হয় তাহলে পরিণাম মোটেও ভালো হবে না। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন ঘটনার ওপর ভিত্তি করেই এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিগত সময়ে দেখা গিয়েছে এজেন্টদের চাপে, সঠিক সময় লোনের কিস্তি দিতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে অনেক মানুষ অসামাজিক কাজেও জড়িয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে অবক্ষয় হয়েছে সমাজের।
তবে এইসব পরিস্থিতি থেকে ঋণগ্রহীতাদের বের করে আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্তেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক গুলিকে অর্থমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন টাকা আদায়ের জন্য ‘যা খুশি তাই’ করা যাবে না। সীতারামন সতর্ক বার্তা দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে জানিয়েছেন লোন রিকভার করার ক্ষেত্রে আরও মানবিক হতে হবে এবং বিষয়টিকে সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখতে হবে। যদি কোন ব্যাংক কিংবা আর্থিক সংস্থান এর বিচ্যুত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে আরবিআই।
আরও পড়ুন:- গরমের ছুটির পর পরই আবারো বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকতে চলেছে স্কুল। কবে কবে জেনে নিন।
অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার আগেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে নির্দেশ ছিল কোন ঋণগ্রহীতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশ ছিল শুধু কাগজে-কলমে। বাস্তবে তার কোন ব্যবহার দেখা যেত না। ফলত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসতো অপ্রীতিকর খবর। করোনা পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পায় আরও। এবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।