new-scheme-initiated-by-west-bengal-government
Advertisement

পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আরো এক নতুন প্রকল্প (New Scheme) কার্যকর করা হলো। সমগ্র রাজ্যে বসবাসকারী নাগরিকরা এই নতুন প্রকল্পের আওতায় এক বিশেষ অনুদান পাবেন বলেই জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

Advertisement

রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছে। তবে এবারে রাজ্যের বেকার যুবকদের মাছ চাষের মাধ্যমে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আরও এক নতুন প্রকল্প (New Scheme) কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কার্যকরী এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হতে চলেছেন সমগ্র রাজ্যের মৎস্যজীবীরাও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ৯ হাজার মৎস্যজীবী উপকৃত হতে চলেছেন।

Advertisement

রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের যুবকদের স্বনির্ভর হওয়ার ক্ষেত্রে এবং মৎস্যজীবীদের সাহায্য করার জন্য প্রত্যেক বছর মৎস্যজীবীদের ৫ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হবে, এই নতুন প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্পের অনুদান সরাসরি মৎস্যজীবীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হবে। তবে এর পাশাপাশি আরো জানানো হয়েছে যে, ছোট মাছ চাষ করার জন্যই মূলত এই অনুদান প্রদান করা হবে মৎস্যজীবীদের। বিভিন্ন সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, যেসমস্ত মৎস্যজীবীদের নিজেরা মাছের চারা কিনে অন্য ব্যক্তির পুকুরে চাষ করেন এবং সেগুলিকে বড় করে বিক্রি করেন তাদেরই মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনুমান প্রদান করা হবে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বাড়ানো হলো ৪০০ টাকা। কারা কারা এই অতিরিক্ত টাকা পেতে চলেছেন জেনে নিন।

এতোদিন পর্যন্ত এই সমস্ত মৎস্যজীবীদের রাজ্য সরকারের তরফে মাছের চারা কিনে দেওয়া হতো তবে এবার থেকে সেই প্রক্রিয়ায় ইতি টানতে চলেছে রাজ্য সরকার। এবারে সরাসরি এই সকল মৎসজীবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দেওয়া হবে এবং তারা নিজেরাই মাছের চারা কিনে নিয়ে বড় করে বিক্রি করতে পারবেন। এই প্রকল্প সঠিকভাবে কার্যকর করার জন্য প্রতিটি জেলায় ৯ দফার নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এমনকী এও জানা গিয়েছে যে, আগামীতে এই প্রকল্পের আওতায় যে অনুদানের টাকা প্রদান করা হবে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে।

তবে এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের বেশ কতোগুলি নিয়ম মেনে চলতে হবে। আর এই নিয়মের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রথম ধাপে মৎস্য বিভাগের তরফে এই সকল মৎস্যজীবীদের ১০০০ টাকা দেওয়া হবে। এই টাকার মাধ্যমে উক্ত মৎস্যজীবী মাছ চাষ করে কতো টাকা আয় করেছেন তা সঠিকভাবে জানাতে হবে অর্থাৎ এই ১০০০ টাকার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করতে হবে। তবেই পরবর্তীতে আরো ১০০০ টাকা পেয়ে যাবেন মৎসজীবীরা। এমনকি কোন জেলায় কতোজন মৎস্যজীবী এই প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাবেন তাও নির্ধারণ করা হয়েছে মৎস্য বিভাগের তরফে।

আগামীকালের মধ্যে এই কাজটি না করলে পাবেন না ওয়েসিস স্কলারশিপের টাকা, জেনে নিন বিস্তারিত।

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, উত্তর 24 পরগনা, দক্ষিণ 24 পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর প্রতিটি জেলার ৬৫৭ জন করে মৎস্যজীবী এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পেতে চলেছেন। অন্যদিকে বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলার ৫৪৮ জন করে মৎস্যজীবী এই প্রকল্পের আওতায় টাকা পাবেন বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ্যে আসায় রাজ্যের মৎসজীবী এবং রাজ্যের যুব সমাজের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের চেষ্টায় বারংবার যুবক-যুবতীদের নতুন করে ব্যবসা ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প কার্যকর করা হয়ে থাকে তবে এবারে এই নতুন প্রকল্পে যুবক-যুবতীদের সাহায্যের পাশাপাশি মৎস্যজীবীরা উপকৃত হতে চলেছেন বলেই দাবি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।