new-update-about-free-ration-of-state-government
Advertisement

ভারতবর্ষের অধিকাংশ মানুষই মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা দরিদ্র। স্বভাবতই ভারতের রেশন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করেন কয়েক কোটি মানুষ। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের তরফে সকল রেশন কার্ডধারীকে কার্ডের ক্যাটাগরি অনুযায়ী রেশন দেওয়া হয় বিনামূল্যে। দীর্ঘদিন ধরেই নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। এছাড়াও অন্যান্য শ্রেণীর রেশন কার্ড উপভোক্ততারাও রেশন পেয়ে থাকেন প্রত্যেক মাসে।

Advertisement

করোনা পরবর্তী সময় থেকে বিনামূল্যে সব শ্রেণীর মানুষকেই রেশন দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্য সরকারগুলি নিজেদের সামর্থ্য মতো বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষকে। করোনা অতিমারির সময় থেকে চালু হওয়া বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রথা এখনো চালু রেখেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য। তবে এবার রাজ্য সরকারের এক সিদ্ধান্তের কারণে রেশনের হাত থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন দুই কোটি মানুষ।

Advertisement

রেশন ব্যবস্থা যেহেতু ভারতের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস তাই এতে স্বচ্ছতা থাকা খুব প্রয়োজন। প্রত্যেক মানুষ যেন নিজের ভাগের রেশন পান তা দেখার দায়িত্ব আধিকারিকদের। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সকল রেশন কার্ড উপভোক্তাকে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড অতি অবশ্যই লিংক করাতে হবে। এর ফলে অনেক ভুয়ো রেশন কার্ডধারী ধরা পড়েছেন এবং তাদের রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। এছাড়াও যারা আধার এবং রেশন কার্ড লিঙ্ক করেননি, তাদের রেশন কার্ডও বাতিল করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।

আরও পড়ুন:- এখন ঘরে বসেই আধার কার্ড আপডেট করা সম্ভব। জেনে নিন পদ্ধতি।

যাদের রেশন কার্ড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে তারা আর বিনামূল্যের আসন পাবেন না সরকারের থেকে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই সকল রেশন গ্রাহক প্রত্যেক মাসে ৫ কিলো করে চাল পেতেন। সরকারি হিসেব অনুযায়ী গ্রাহক প্রতি সরকারের খরচা হতো ১৫০ টাকা, প্রত্যেক মাসে। এবার দুই কোটি মানুষের রেশন কার্ড বাতিল হওয়ায় মোট ৩০০ কোটি টাকা বেঁচে গেল সরকারের।