মোটামুটি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলেই নেওয়া হয় দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন কিংবা সেকেন্ড সামেটিভ পরীক্ষা। চলতি ভাষায় যাকে বলা হয় সেকেন্ড টার্ম পরীক্ষা কিংবা মিড টার্ম পরীক্ষা। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত পড়িয়ে নেওয়া হয় এই পরীক্ষা। কিন্তু এ বছরের চিত্রটা খানিকটা অন্যরকম। একই গ্রীষ্মের দাবদাহে অনেক আগে গরমের ছুটি পড়েছিল এ বছর। গরমের কারণে বেশ কয়েকদিন স্কুল বন্ধ ছিল। জুন মাসের প্রথম দিকে স্কুল খুললেও ততদিনে বেজে গিয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের বাদ্দি।
এই মাসের শুরুর দিকে রাজ্যে আয়োজিত হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট এবং সেই ভোটকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা। পঞ্চায়েত ভোটের গণনা কেন্দ্র হয় অনেক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। অনেক স্কুলে আবার শিবির ফেলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের অধিকাংশই এখনও রাজ্যে রয়েছে শিবির ফেলে। ফলত, স্কুলে পঠন পাঠন একপ্রকার বন্ধই বলা যায়। শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি চলাকালীন অনলাইনে ক্লাস হলেও সমস্ত স্কুলে তা হয়নি। বাস্তবিক কারণেই তা সম্ভব নয় সব জায়গায়।
এহেন অবস্থায় শিক্ষা মহলে প্রশ্ন উঠছে তাহলে দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন কিংবা সেকেন্ড টার্ম পরীক্ষা কবে হবে। জানা যাচ্ছে বেশ কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন ইতিমধ্যেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে সেকেন্ড টার্ম পরীক্ষা অগাস্টের শেষ ভাগে সংগঠিত করতে। এখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষা দপ্তর কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেইদিকে তাকিয়ে রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকরা। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত ইতিমধ্যেই পরীক্ষার প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দেওয়া।
আরও পড়ুন:- সমস্ত স্কলারশিপে আবেদন করতে প্রয়োজন পড়ছে শিক্ষা আইডি। কোথা থেকে জোগার করবেন জেনে নিন।
শিক্ষকমহলের একাংশের মতে, মধ্য শিক্ষা পর্ষদ কিংবা শিক্ষা দপ্তর সরাসরি কোন সিদ্ধান্ত না নিয়ে পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে তা স্কুলের হাতেই ছাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে এমনটা হয়তো দেখা যেতেই পারে যেই সমস্ত স্কুলে এখনো কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে সেখানে হয়তো অগাস্টের শেষ ভাগে পরীক্ষা হল। বাকি স্কুলগুলি খুলে হয়তো আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া হতে পারে। অবশ্য মধ্য শিক্ষা পর্ষদ কিংবা শিক্ষা দপ্তরের তরফে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো জানানো হয়নি।