new-update-of-rbi-about-the-limit-of-savings-account
Advertisement

সাধারণত সব মানুষই কোনো না কোনো ব্যাংকে সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলার মূল উদ্দেশ্য হল অর্থ সংগ্রহ করে রাখা। পরবর্তীকালে অনেকেই সেই অর্থ টার্ম ডিপোজিট অর্থাৎ ফিক্সড ডিপোজিট করে দেন, অনেকে আবার অন্যান্য ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন। কেউ কেউ আবার শেয়ার মার্কেটেও বিনিয়োগ করেন। যত সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হয়, ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু এই সেভিংস অ্যাকাউন্ট নিয়ে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘোষণা করতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কিংবা আরবিআই। শোনা যাচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করতে চলেছে আরবিআই।

Advertisement

ব্যাঙ্কে টাকা দীর্ঘদিন ধরে জমা রাখলে আপনি অনেক সুবিধা পান। ব্যাংকে টাকা রাখলে আমরা সবাই কিছু না কিছু পরিমাণ সুদ পাই। তবে ব্যাংক একাউন্ট চালু রাখার জন্য একজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ন্যূনতম ব্যালেন্স মেইনটেন করতে হয়। অনেক সময়ই দেখা যায় মিনিমাম ব্যালেন্স না থাকার কারণে টাকা কেটে নেওয়া হয় কিংবা পেনাল্টি চার্জ করা হয় অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে। তখন সমস্যার মুখে পড়েন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

আরও পড়ুন:- দাম কমলো ট্রেনের টিকিটের। কত দাম কমলো জেনে নিন।

তবে শোনা যাচ্ছে অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার নূন্যতম পাশাপাশি সর্বোচ্চ সীমাও নির্ধারণ করতে চলেছে আরবিআই। আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে সেই টাকার সীমা ছাড়িয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি। ধরা যাক কোন ব্যাংক কোন গ্রাহকের ওপর ৩০ লক্ষ টাকার সীমা নির্ধারণ করল। সেক্ষেত্রে আপনি ওই ব্যাংকে মোট ৩০ লক্ষ টাকা রাখতে পারেন। যদি আপনার তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে প্রত্যেকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা আপনি রাখতে পারেন। তবে আপনার ব্যাংকে সেই সীমা কতটা সেটা আপনি আপনার ব্যাংকের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেবেন।

এক্ষেত্রে পাঠককে জানিয়ে রাখি, মোটামুটি ভাবে জানা যাচ্ছে মূলত চেকিং অ্যাকাউন্ট, সেভিংস অ্যাকাউন্ট, কল ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট এবং প্রিপেইড ডেবিট কার্ড অ্যাকাউন্টে সব মিলিয়ে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩৫ লক্ষ টাকা রাখতে পারেন। মাথায় রাখবেন এক্ষেত্রে কিন্তু টার্ম ডিপোজিটের কথা উল্লেখ করা হয়নি। অর্থাৎ যদি আপনার টাকা এর ওপরে থাকে, তাহলে আপনি সেটা এফডি করে রাখতে পারেন।