এখন নিজের কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে নিন

সময় যত এগিয়েছে সাধারণ মানুষের নিত্য নতুন বিভিন্ন ডিজাইনের জামা কাপড়ের চাহিদাও ততই বেড়েছে। ফলত মানুষের বাড়তে থাকা চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে বেড়ে উঠেছে কাপড়ের ব্যবসা। আর আপনি যদি নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য আইডিয়া খুঁজে থাকেন তবে আপনি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
আপনার দোকানটি অবশ্যই যেকোনো একটি জনবহুল জায়গায় হতে হবে। কারণ যত বেশি মানুষ আপনার দোকানটি সম্পর্কে জানতে পারবেন আপনার ব্যবসা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি আপনার দোকানটিকে বেশ আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন শো কেসে বর্তমান বাজারে যে সমস্ত জামা কাপড়ের চাহিদা বেশি সেগুলি সাজিয়ে রাখতে হবে যাতে মানুষ আপনার দোকানের দিকে আকৃষ্ট হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের নানা ধরনের শাড়ি থেকে শুরু করে চুড়িদার, জিন্স, টপ লেহেঙ্গা কুর্তি, ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট, গেঞ্জি সমস্তকিছুই আপনার কালেকশনে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে কোনভাবেই যেন গ্রাহক আপনার দোকান থেকে ফিরে না যায়। এর পাশাপাশি যথেষ্ট ভালো মানের জামা কাপড় আপনার কালেকশনে রাখতে হবে। এছাড়াও গ্রাহক টানার জন্য আপনার এলাকায় বিভিন্ন হোডিং, পোস্টার, লিফলেট এর মাধ্যমে আপনার দোকানের সম্পর্কে প্রচার করতে হবে।
তবে শুধুমাত্র দোকানের মাধ্যমেই আপনি কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তা নয়, আপনি হোলসেলার হিসেবেও কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে আপনার নিকটবর্তী যেকোন বড় বাজার থেকে অথবা যেকোনো নামকরা বাজার থেকে পাইকারি দরে যথেষ্ট কম দামে জামাকাপড় কিনে নিয়ে পরবর্তীতে তা আপনার এলাকার ছোট ছোট দোকানদারদের কাছে বিক্রি করতে হবে। তবে হোলসেলার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে আলাদা করে যেকোন জনবহুল এলাকায় ঘর ভাড়া না নিলেও চলবে, আপনি আপনার বাড়ি থেকেই হোলসেলার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যদি যথেষ্ট টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে চান তবে দোকান এবং হোলসেল দুটি ব্যবসাকেই একাধারে পরিচালনা করতে পারেন। একদিকে যেমন আপনি দোকানের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা থেকে এগিয়ে নিতে পারবেন, ঠিক তেমনই হোলসেলার হিসেবেও আপনার কাপড়ের ব্যবসা থেকে যথেষ্ট টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
বাড়িতে বসেই বানিয়ে ফেলুন আপনার শিশুর আধার কার্ড। কিভাবে বানাবেন বিস্তারিত জেনে নিন
এছাড়াও আপনার ব্যবসাটিকে বাড়ানোর আরও একটি সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সমগ্র বিশ্বকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। তাই এখন আপনি চাইলে ফ্লিপকার্ট, আমাজন, মিন্ত্রা, মিশোর মত অনলাইন সাইটগুলি থেকে শুরু করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এমনকি হোয়াটসঅ্যাপকে কাজে লাগিয়েও অনলাইনের মারফত আপনার কাপড়ের ব্যবসাটিকে বাড়াতে পারেন। এর ফলে আপনার ব্যবসাটি কেবলমাত্র আপনার এলাকাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, সমগ্র ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসা ছড়িয়ে পড়বে। অনলাইনের মাধ্যমে যে সমস্ত গ্রাহকরা আপনাকে জামা কাপড়ের অর্ডার দেবেন তাদের অর্ডারগুলি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসাটিকে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনার যথেষ্ট মূলধনের প্রয়োজন হবে। যেকোন জনবহুল এলাকায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে গেলেও অন্ততপক্ষে ৩ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হবে। এক্ষেত্রে আপনার বাড়িতে যদি যথেষ্ট জায়গা থেকে থাকে এবং আপনার বাড়ি যদি জনবহুল এলাকায় হয়ে থাকে তবে যথেষ্ট কম টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তবে আপনি চাইলেই প্রথমে স্বল্প মূলধনের মাধ্যমে ব্যবসাটিকে ছোটভাবে শুরু করতে পারেন এবং পরবর্তীতে আপনার ব্যবসা বড় হতে শুরু করলে ব্যবসার উপার্জন থেকেই আপনি আপনার ব্যবসাটিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়াতে পারবেন।
গ্রাহকদের পছন্দ অনুসারে কাপড়ের সম্ভারের যোগান দিতে পারলে এবং ঠিকঠাকভাবে প্রচার করতে পারলে এই কাপড়ের ব্যবসা থেকে আপনি কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের যেকোনো ক্ষেত্রে ব্যবসা করার জন্য ট্রেড লাইসেন্সের প্রয়োজন হয়ে থাকে। সুতরাং কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাকেও সমস্ত নিয়ম মেনে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।