দেশের কৃষকদের আর্থিকভাবে অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সূত্র মারফত দাবি করা হয়েছিল যে, নতুন বছরের একেবারে শুরুতেই কৃষকরা ১৩ তম কিস্তির অনুদানের টাকা পেতে চলেছেন (PM Kisan 13th Installment)। তবে এবারের পিএম কিষাণ-এর ক্ষেত্রে এক বিরাট পরিবর্তন আনা হলো।
রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কৃষকদের তরফে দাবী করা হয়েছে যে, রাজ্য কৃষকদের মোবাইলে পিএম কিষাণ সংক্রান্ত এক মেসেজ পাঠানো হয়েছে এবং এই মেসেজে কৃষকদের বেশ কতোগুলি নথি জমা দেওয়ার কথা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই এই মেসেজ ঘিরে কৃষকদের মধ্যে নানা প্রকার প্রশ্ন উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই মেসেজ কতটা সত্যি এবং এই মেসেজের নির্দেশ অনুসারে নথি জমা না দিলে কি হবে তা জানতে চেয়ে কৃষকরা বারংবার নানাবিধ প্রশ্ন তুলেছে (PM Kisan 13th Installment)।
আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে, রাজ্যের কৃষকদের তথ্য ভেরিফিকেশনের উদ্দেশ্যে পশ্চিমবঙ্গের কৃষি দপ্তরের তরফে এই মেসেজ পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যেসমস্ত কৃষকদের ইতিপূর্বেই পিএম কিষাণ -এর অধীনে নাম নথিভুক্ত ছিল তারা সহ যেসমস্ত কৃষকরা নতুন করে পিএম কিষাণ-এর অধীনে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এরূপ বহু কৃষককেই কতোগুলি বিশেষ নথি সহকারে ব্লকের কৃষি অধিকর্তার দপ্তরে এসএমএস প্রাপ্তির ৪ দিনের মধ্যে কতগুলি বিশেষ নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের মোবাইলে এই মেসেজ পাঠানো হয়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে সমস্ত কৃষককে মেসেজ পাঠানোর মাধ্যমে অথবা ফোন করার মাধ্যমে ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিসে ডেকে এই স্বঘোষণাপত্র পূরণ করা হবে।
আবাস যোজনা নিয়ে উঠে এলো বড়ো আপডেট। আরো ২০ হাজার লোক ঘর পেতে চলেছেন।
রাজ্য সরকারের তরফে জারি করে এই মেসেজ অনুসারে কৃষকদের জমির পর্চা, আধার কার্ড, ব্যাংকের পাস বই এবং ভোটার কার্ড সহকারে ব্লকের কৃষি অধিকর্তার অফিসে যোগাযোগ করতে হবে এবং একটি স্বঘোষণাপত্র পূরণ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, ইতিমধ্যেই যেসমস্ত কৃষকদের নাম পিএম কিষাণ যোজনার অধীন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তাদের নথিগুলি ভেরিফাই করার জন্য এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়েছে, অন্যদিকে যেসমস্ত কৃষকরা নতুন করে পিএম কিষাণ -এর অধীনে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তাদের নথিগুলি যাচাইকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এই প্রক্রিয়া কার্যকর করা হয়েছে।
সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link
বিভিন্ন সূত্র মারফত দাবি করা হয়েছে যে, যেসকল কৃষকদের এই সমস্ত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা সঠিক সময়ে সমস্ত তথ্য জমা না দিলে কোনোভাবেই পিএম কিষাণ -এর অধীনে অনুদান পাবেন না। আবার অন্যদিকে এও দাবি করা হয়েছে যে, সমস্ত কৃষকরা এই সমস্ত তথ্য জমা দেবেন তাদের মধ্যে যদি কোন অযোগ্য উপভোক্তা থেকে থাকে তবে তিনি আগামীতে আর এই যোজনার অধীনে টাকা পাবেন না (PM Kisan 13th Installment)। যদিও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই রাজ্য সরকারের তরফে কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়নি।