বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, আগামী দিনে খুব শীঘ্রই পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় ১৪ নম্বর ইনস্টলমেন্টের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসায় সমগ্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা পিএম কিষাণ যোজনার অধীনস্থ কৃষকরা ১৪ তম ইনস্টলমেন্টের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পিএম কিষাণ সংক্রান্ত এক নতুন আপডেট প্রকাশ্যে আনা হলো।
নতুন আপডেটটি কি?
পিএম কিষাণ -এর ১৪ তম ইনস্টলমেন্টের টাকা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কার্যকর এই নতুন আপডেট সম্পর্কে সমগ্র দেশের কৃষক তথা সাধারণ জনগণের মধ্যে নানাধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতে বসবাসকারী যেসমস্ত কৃষকরা অন্যের জমিতে ভাগচাষী হিসেবে ফসল উৎপাদন করেন তারা পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। এর পাশাপাশি আরো জানা গিয়েছে যে, যেসকল কৃষকদের জমি রয়েছে তারাও অনেকাংশে এই যোজনার আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনটাই দাবি করা হয়েছে এই সমস্ত সূত্রের তরফে।
আরও পড়ুন:- ভারতের রহস্যজনক এক স্টেশন, টিকিট কাটে সবাই কিন্তু ট্রেনে কেউ চড়ে না ।
ইতিমধ্যেই এই খবর প্রকাশ্যে আসায় ভারতের কৃষকদের মধ্যে পিএম কিষাণ যোজনা এবং পিএম কিষাণ যোজনার ১৪ তম ইনস্টলমেন্টের অনুদান নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। এমনকী জমি থাকা সত্ত্বেও কৃষকরা কি কারণে টাকা পাবেন না তা জানার জন্য বারংবার প্রশ্ন তুলেছেন কৃষকরা। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে, যেসকল কৃষকরা পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় অনুদানের জন্য আবেদন জানাবেন তাদের জমি তাদের নিজের নামে রেকর্ডেড থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকরা জমিতে চাষ করলেও জমির রেকর্ড বাবা অথবা কাকা কিংবা অন্য বয়ঃজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির নামে থাকে। সুতরাং, আপনিও যদি পিএম কিষাণ -এর আওতায় আবেদন জানতে চান, তবে আপনার জমির রেকর্ড আপনার নামে থাকতে হবে। আপনার বাবা কাকা, মা অথবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে উক্ত জমির রেকর্ড থাকলে আপনি কোনোভাবেই পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন না।
এই সমস্যার সমাধান কি?
তবে সমস্যা যখন রয়েছে সমস্যার সমাধানও রয়েছে। আপনি যদি বাবা, বাবা কাকা মা অথবা পরিবারের অন্যকোনো সদস্যের জমি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়ে থাকেন এবং যে ব্যক্তির থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে জমিটি পেয়েছেন তিনি যদি জীবিত থাকেন তবে জমিটি আপনার নামে রেজিস্ট্রি করতে হবে। জমি রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে আপনি দলিল হাতে পেয়ে যাবেন এবং তারপর আপনাকে জমির রেকর্ডের জন্য আবেদন জানাতে হবে। জমির রেকর্ড হাতে পেয়ে গেলেই আপনি পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় আবেদন জানাতে পারবেন।
সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আজই যুক্ত হন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে- Link
তবে আপনি যে ব্যক্তির থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে জমিটি পেয়েছেন তিনি যদি মারা গিয়ে থাকেন তবে আপনাকে পঞ্চায়েত বা পৌরসভা অফিস থেকে একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন জানাতে হবে। পরবর্তীতে পঞ্চায়েত অথবা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের অফিস থেকে ওয়ারিশ সার্টিফিকেটটি জারি করা হলে আপনি ওই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে জমির রেকর্ডের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। আর জমির রেকর্ড হাতে পেলেই আপনি পিএম কিষাণ যোজনার নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।