ration-shop-closed-for-four-days-of-this-week

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে সমগ্র রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের সাধারণ নাগরিকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে খাদ্যসাথী প্রকল্প কার্যকর করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ নাগরিকরা রেশন দোকান থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চাল, গম, আটা পেয়ে থাকেন। তবে এই চলতি মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসে চার দিন বন্ধ থাকতে চলেছে রেশন দোকান (Ration Shop Closed)।

ফলত এই চারদিন রেশন দোকান থেকে কোনোরকম পরিষেবা পাবেন না নাগরিকরা, এমনটাই জানানো হয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে। আর তাতেই সমগ্র রাজ্য সাধারণ মানুষের মধ্যে কেনো এই চারদিন রেশন দোকান বন্ধ থাকতে চলেছে এবং কি কারণে এই চার দিন কোনোরকম পরিষেবা মিলবে না তা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রেশন সংক্রান্ত যে সকল নীতি কার্যকর করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে সর্বভারতীয় রেশন ডিলার সংগঠনের তরফে দিল্লিতে এক অবস্থান আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আন্দোলনে অংশ নিতে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেশন ডিলাররা দিল্লি যাচ্ছেন। আর তাতেই এই চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত রেশন দোকান বন্ধ (Ration Shop Closed) থাকলে চলেছে। নিজেদের এই সিদ্ধান্তের কথা চিঠির মাধ্যমে খাদ্য দপ্তরকেও জানানো হয়েছে রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের তরফে। আগামীকাল অর্থাৎ ২২শে মার্চ বুধবার দিল্লিতে আন্দোলনে অংশ নিতে চলেছেন সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রেশন ডিলাররা।

আবেদন করুন মাহিন্দ্রা স্কলারশিপে এবং পেয়ে যান সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা।

নিয়ম অনুসারে, সোমবার সমস্ত রেশন ডিলারদের সপ্তাহিক ছুটির দিন, আর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার জন্য দিল্লি যাওয়ার ক্ষেত্রে এবং আন্দোলন শেষে বাড়ি ফেরার জন্য বাকি দিনগুলি বন্ধ থাকবে রেশন দোকান, এমনটাই জানানো হয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠনের তরফে। বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ১৭ হাজার রেশন ডিলার দিল্লিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিতে চলেছেন। এর পাশাপাশি যেসকল রেশন ডিলাররা দিল্লি যেতে পারবেন না তাদের এই ৪ দিন রেশন দোকান বন্ধ রেখে পরোক্ষভাবে আন্দোলনকারীদের সহায়তা করার আবেদন জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু।

আবেদন করুন প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি যোজনায়। মাত্র ৩৩০ টাকার বিনিময়ে পাওয়া যাবে ২ লক্ষ টাকা।

এর পাশাপাশি তিনি সংবাদমাধ্যমকে আরো জানিয়েছেন যে, আগামীকাল বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে যে আন্দোলনে তারা যোগ দিতে চলেছেন তা সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই ডাকা হয়েছে। সমগ্র দেশের সাধারণ জনগণ যাতে রেশনের সমস্ত সুবিধা পান এবং সুষ্ঠুভাবে রেশন পদ্ধতির পরিচালনা করা যায় তার জন্যই এই আন্দোলন ডাক দেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে। আর তাতেই এই আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সহযোগিতার আশা করেছেন আন্দোলনকারী রেশন ডিলার সহ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু।

ইতিমধ্যে খাদ্য দপ্তরকে এই বিষয়টি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। যদিও খাদ্য দপ্তরের তরফে এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে, তারা ৪ দিন রেশন দোকান বন্ধ থাকলে রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বসবাসকারী সাধারণ জনগণকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে মনে করেছেন ওয়াকিবহাল মহলের কর্তারা। আর তাতেই এই ৪ দিন রেশন দোকান বন্ধ থাকা নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানতে ইতিমধ্যে উৎসুক হয়ে রয়েছেন রাজ্যের সাধারণ জনগণ।