নতুন ধরনের এটিএম দেশে আনার কথা চিন্তা ভাবনা করছে রিজার্ভ ব্যাংক। তাদের নতুন করে ২০০০টাকার নোট নিয়েও কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে চলেছে। সেপ্টেম্বরের মাসের পর থেকে ভারতবর্ষে আর ২০০০টাকার নোট নিয়ে কোনো লেনদেন হবেনা। এর পিছনের কারণটা অত্যন্ত সাধারণ। এই নোটের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াতে ইতিমধ্যেই এই নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে গেছে। যদিও এবারে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলবেনা তারা বেশ কিছু মাস আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। সমস্ত ব্যাঙ্কই নিঃশর্তে ২০০০টাকার নোট পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বেশ কিছু দিন হাতে সময় পাওয়ায় লম্বা লাইনে আর দাঁড়াতে হচ্ছেনা সাধারণ মানুষকে।
কিন্তু ভারতবর্ষে খুচরো পয়সার একটা বিপুল শূন্যস্থান আছে। সেই শূন্যস্থান নিয়ে সাধারণ মানুষ সবসময় সমস্যায় পড়ে। তারা টাকা তুলতে গেলেই একাধিক এটিএম দিয়ে ৫০০টাকার নোট বেরোয়। আর এই টাকা খুচরো করাতে নাভিশ্বাস ছুটে যায় তাদের। নিত্যদিনের পরিবহনে এই সমস্যা ভীষণ ভাবে প্রকট। এই সমস্যার কথা রিজার্ভ ব্যাংকের অন্দরে অবধি পৌঁছে গেছে। তাই কিছুদিন আগে এই নিয়ে একটি মিটিং হয়েছে। সেখানে একপক্ষের প্রস্তাবে রিজার্ভ ব্যাংক বলেছে। এবার থেকে UPI ভিত্তিক এটিএম তৈরি হতে চলেছে তাতে সবাই ১০০-২০০ যেকোনো ধরনের নোট পাবে। এই বিষয়ে বিস্তরে তাঁরা পরে জানাবে বলেছে।
আরও পড়ুন:- এবার বেসরকারি চাকরিতেও মিলবে পেনশন। নতুন প্রকল্প কেন্দ্র সরকারের।
অনেকেই ভাবছিল ২০০০টাকর নোটের শূন্যস্থান পূরণ করতে আগের মতো ১০০০টাকার নোটকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু রিজার্ভ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে তারা এবিষয়ে এখনই কিছু ভাবছেনা এ বিষয়ে। তাদের কাছে যথেষ্ট ৫০০,১০০,২০০টাকার নোট আছে। এই সব নোটের জোগান বাড়িয়েছে সরকার। সমস্ত ব্যাঙ্ককেই ইতিমধ্যেই তারা শতর্ক করেছে এই ব্যাপারে। ডিমনিটাইজেশনের সময় দেশের পুরো নিয়ম ওলটপালট হয়ে গিয়েছিল। সাধারণ মানুষ হাহাকার সমস্যায় পড়েছিল। এমন কিছু বেসরকারি ব্যাংকের ব্যাপারে শোনা গিয়েছিল যে তারা ফর্ম ফিল আপ করিয়ে টাকা দিচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংক সেই সকল ব্যাঙ্ককে সতর্ক করেছে।