পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতে না হতেই প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবার থেকে অনলাইন প্রভিডেন্ট ফান্ড WBIFMS পোর্টাল চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থ দপ্তরের তরফে নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশ জারি করেছেন রাজ্যের মুখ্য অর্থসচিব মনোজ পন্থ। মনে করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে লাভবান হবেন অসংখ্য শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী। নবান্নের নোটিশে সাফ জানানো হয়েছে এই পদ্ধতি শীঘ্রই লাগু করতে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে।
নবান্ন থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এবার থেকে রাজ্য সরকার WBIFMS-র আওতায় ‘নন গভর্নমেন্টাল ইনস্টিটিউশস প্রভিডেন্ট ফান্ড মডিউল’ চালু করতে চলেছে গোটা রাজ্যে। এই সিদ্ধান্তে সহমত জানিয়েছেন রাজ্যপালও। সিদ্ধান্তের ফলের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা অনলাইনেই নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট অপারেট করতে পারবেন। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কর্মচারীদের নিয়মিত দেখতে পারবেন তাদের ফান্ডে টাকা পড়ছে কিনা। সর্বোপরি তারা নিজেদের ব্যালেন্স চেক করতে পারবেন অনলাইনে। এর ফলে পুরো বিষয়টিতে আরো স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের তরফে।
নবান্ন সূত্রে খবর, বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্য সরকারের কাছে অভিযোগ আসছিল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের তরফে। তাদের দাবি ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা জমা করাচ্ছেন না। এমনকি বহু সময় নিজেদের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকেই টাকা তুলতে গিয়ে ঝক্কি পোহাতে হয়েছে মানুষকে। ফলতো অনেক কর্মচারী নিজেদের বার্ষিক পিপিএফ স্টেটমেন্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এইসব বিরম্বনার কথা মাথায় রেখেই সম্পূর্ণ বিষয়টিকে অনলাইনে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন:- হোয়াটসঅ্যাপ লঞ্চ করলো নতুন ফিচার। এখন আপনার গোপনীয়তা হবে আরো উন্নত।
এর আগে সুদীর্ঘ সময় ধরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীরা। DA ইস্যুতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনার চত্বরে ধর্ণা থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে আন্দোলন এবং মিছিল। বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য এবছরের বাজেটে তিন শতাংশ DA ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের জন্য। কিন্তু তাদের বিন্দুমাত্র খুশি নয় সরকারি কর্মচারীরা। শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। এই আবহেই বেসরকারি কর্মচারীদের জন্য এমন তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।