state-government-will-give-unemployment-allowance-of-2500-rupees-per-month-after-passing-school

সমগ্র দেশজুড়ে মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বেকারত্বের হারও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আর ইতিমধ্যেই বেকার, কর্মহীন যুবক-যুবতীদের নিজস্ব ব্যবসা গঠন থেকে শুরু করে শিল্প ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানের জন্য বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নানাধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে এবারে রাজ্য সরকারের তরফে বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য এমন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো, যার আওতায় রাজ্যের যুবক-যুবতীরা প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা করে পেতে চলেছে (Unemployment Allowance)।

আজ্ঞে হ্যাঁ, এমনটাই জানানো হয়েছে ছত্রিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের তরফে। চলতি অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট প্রকাশকালে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের জন্য এই বিশেষ ভাতার বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে রাজ্য সরকারের তরফ সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে এই বেকার ভাতা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যও জানানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, যুব সমাজকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে এবং কর্মহীন যুবকদের আর্থিক সুরক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে ছত্রিশগড়ের রাজ্য সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ছত্রিশগড়ের রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী এই ভাতার (Unemployment Allowance) আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে যুবক-যুবতীদের বেশ কতোগুলি শর্ত মেনে চলতে হবে।

ছত্রিশগড় রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে যে শর্তগুলি আরোপ করা হয়েছে তা হলো:-
১. ২০২৩ সালের ১লা এপ্রিল তারিখের মধ্যে আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৩৫ বছরের মধ্যে হওয়া আবশ্যক।

২. এই ভাতার আওতায় অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে নূন্যতম দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩. ছত্রিশগড়ের রাজ্য সরকারের তরফে আরো জানানো হয়েছে যে, এই ভাতার আওতায় নাম লথিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকা বা তার চেয়ে কম হওয়া আবশ্যক।

৪. এই ভাতার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে আরো জানা গিয়েছে যে, এই ভাতার আওতায় অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই ছত্তিশগড়ের স্ব-কর্মসংস্থান নির্দেশিকা কেন্দ্রের সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

৫. এছাড়াও এই নতুন ভাতার আওতায় অনুদান পাওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির বিগত ২ বছরের এমপ্লয়মেন্ট রেজিস্ট্রেশন থাকা আবশ্যক।

এপ্রিল মাসের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কবে পাবেন, জেনে নিন এখনই।

চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই ভাতার আওতায় নিজের নাম নথিভুক্ত করোনার জন্য কিভাবে আবেদন জানাবেন:-
ছত্রিশগড় রাজ্য সরকারের তরফে কার্যকরী এই বেকার ভাতার অধীনে নিজের নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে একজন একজন ব্যক্তিকে প্রথমেই এই বেকার ভাতার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://berojgaribhatta.cg.nic.in/ -এ যেতে হবে। পরবর্তীতে ফোন নম্বরের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই Login -এর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। এরপর আপনার নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, লিঙ্গ, জন্ম তারিখ, জাতি, আধার নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত তথ্য সহকারে ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। সবশেষে প্রয়োজনীয় নথিগুলি আপলোড করে ফর্মটি সাবমিট করতে হবে।

সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link

আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নথি সমূহ:-
১. এমপ্লয়মেন্ট অফিসের রেজিস্ট্রেশন কার্ড।
২. দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর মার্কশিট।
৩. ছত্রিশগড়ের স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র।
৪. পরিবারের বাৎসরিক আয়ের সার্টিফিকেট।
৫. আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ফটো।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের বড়ো ঘোষণা। এখন সকল মহিলা পাবে ১০০০ টাকা।

এই নতুন অর্থবর্ষ অর্থাৎ ১লা এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ থেকে ছত্রিশগড়ের রাজ্য সরকারের তরফে এই বেকার ভাতার আওতায় অনুদান প্রদান করা হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে চলতে থাকা এই টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এমতাবস্থায় ছত্রিশগড়ের রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য প্রত্যেক মাসে ২৫০০ টাকা দেওয়ার এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ জনগণ।