students-can-earn-money-besides-their-study-from-now-new-initiative-of-government

ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নানাধরনের প্রকল্প, যোজনা এবং স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়ে থাকে। তবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা রাজ্যগুলির রাজ্য সরকারের তরফে নয়, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা UGC -এর তরফেও বেশ কতোগুলি স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, বরাবরই ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার দিকটি নিশ্চিত করতে তৎপর UGC -এর কর্মকর্তারা। আর তাতেই এবারে UGC -এর তরফে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এমন এক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মাধ্যমে আগামী দিনে ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি উপার্জন করতে পারবেন।

আজ্ঞে হ্যাঁ, এমন প্রস্তাবই রাখা হয়েছে UGC -এর তরফে। প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করার জন্য UGC -এর তরফে এইরূপ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যেমন উপার্জন করতে পারবেন, ঠিক তেমনভাবেই তারা তাদের এই বিশেষ দক্ষতাকে আগামী দিনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে UGC -এর কর্মকর্তাদের মধ্যে নানাবিধ ভাবনাচিন্তা চলছে। এমনকী সাধারণ মানুষের কাছেও এবিষয়ক ফিডব্যাক জানতে চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ- এই প্রকল্পের লিস্টে নাম থাকলেই রাজ্য সরকার প্রতি মাসে আপনাকে দেবে দেড় হাজার টাকা। বিস্তারিত জেনে নিন

তবে এখানেই শেষ নয়, UGC -এর তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে আরো জানা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়, এর পাশাপাশি আর্থসামাজিক দিক থেকে দুর্বল রূপান্তরকামী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যেও এই নতুন স্কিমটি কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ মহিলা থেকে শুরু করে রূপান্তরকামী ছাত্র-ছাত্রীরা, ওবিসি ক্যাটাগরিভুক্ত ছাত্র-ছাত্রী এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা এই নতুন স্কিমের সুবিধা পাবেন। এর পাশাপাশি গ্রাম এবং শহরতলীতে বসবাসকারী অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের এই নতুন স্কিমের সুবিধা প্রদান করা হবে, এমনটাই জানা গিয়েছে UGC -এর তরফে প্রকাশিত তথ্যে।

UGC -এর তরফে প্রস্তাবিত এই নয়া স্কিম অনুসারে আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের উচ্চশিক্ষার অর্জনের সাথে সাথেই পার্ট টাইম জব করতে পারবেন। UGC -এর তরফে প্রস্তাবিত এই স্কিমে বলা হয়েছে যে, ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনা চালিয়ে পাশাপাশি গবেষণা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে সহকারি হিসাবে, লাইব্রেরি অ্যাসিস্ট্যান্ট, কম্পিউটার সার্ভিস, ডাটা এন্ট্রি, ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টের মতন নানাবিধ পদে আংশিক সময়ের জন্য কাজ পেতে পারবেন। এক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের ঘন্টার ভিত্তিতে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। একজন ছাত্র বা ছাত্রীকে ১ সপ্তাহে ২০ ঘন্টা পর্যন্ত কাজ করতে হতে পারে। প্রত্যেক মাসে ২০ দিন কাজ করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। ক্লাসের সময় শেষ হওয়ার পর তারা এই কাজগুলি করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ- প্রকাশিত হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা দেওয়ার তারিখ। এই দিন সকলের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা।

এই সমস্ত কাজের ফলে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীদের টেকনিক্যাল জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে তেমনই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। আর এই সমস্ত কিছুর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা আর্থিকভাবে তাদের পরিবারকেও সহায়তা করতে পারবেন। কাজের মেয়াদ পূরণের পর ছাত্র-ছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট সার্টিফিকেটও দেওয়া হবে, যা তারা আগামী দিনে নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনের কাজে কাজে লাগাতে পারবেন। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ব্রিজ কোর্স কার্যকরী করতেও উদ্যোগী UGC। যদিও আগামী দিনে কবে এই প্রস্তাব কার্যকর করা হবে তা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি UGC -এর তরফে। তবে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনায় ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষক থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিকদের তরফে যথেষ্ট ধনাত্মক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে।