বাংলা নববর্ষের শুরুতেই সমগ্র বাংলার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষকদের জন্য রয়েছে এক দারুণ সুখবর। বৈশাখের শুরুতেই গরমের তীব্র দাবদহে রীতিমতো হাঁসফাঁস করছে সমগ্র বাংলার সাধারণ জনগণ। অন্যদিকে, আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই তাপপ্রবাহ চলছে। আর তাতেই খুদে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল পড়ুয়া কিশোর-কিশোরীদের খানিকটা শান্তি দিতেই আরো একবার টানা ছুটি ঘোষণা করা হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে (Summer Vacation)। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় আগামী দিনে কবে থেকে টানা ছুটি শুরু হতে চলেছে তা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষকদের মধ্যেও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ- মাধ্যমিকে ৬০% নাম্বার পেলেই রাজ্য সরকার দেবে ২৪,০০০ টাকা। আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন।
আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং ঘোষণা করেছিলেন যে, রাজ্যের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার জন্য ২রা মে থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি (Summer Vacation) শুরু হতে চলেছে। তবে আজ ১৬ই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমগ্র রাজ্যের আবহাওয়ার দিকটি নজরে রেখে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আরও এক বিশেষ ছুটির ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ই এপ্রিল, সোমবার থেকে ২১শে এপ্রিল, শুক্রবার পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অস্থায়ীভাবে বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে, ২২শে এপ্রিল শনিবার ঈদ-উল-ফিতর -এর কারণে এবং ২৩শে এপ্রিল রবিবার হওয়ার কারণে ১৭ই এপ্রিল থেকে ২৩শে এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৭ দিন ছুটি পাবেন ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকরা।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে, শুধুমাত্র সরকারি স্কুল নয়, বেসরকারি স্কুলগুলিতেও ১৭ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার পর্যন্ত ছুটির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তাপপ্রবাহের কারণে এই বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অত্যধিক গরমে যাতে শিশু শিক্ষার্থীদের হিট স্ট্রোক না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যক্তিত্বদের তরফে। অন্যদিকে, ২রা মে থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের গরমের ছুটি শুরু হতে চলেছে। কিন্তু মাঝের সপ্তাহ অর্থাৎ ২৪শে এপ্রিল থেকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। গরমের তীব্র দাবদাহে গরমের ছুটির পাশাপাশি এই আকস্মিক অস্থায়ী ছুটিতে যথেষ্ট খুশি হয়েছেন সমগ্র রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবক এবং শিক্ষকরা।