পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী দরিদ্র এবং আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ কার্যকর করা হয়েছিল। আর ইতিমধ্যে এই স্কলারশিপের আওতায় অনুদান প্রদানের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
তবে সমস্যা অন্যক্ষেত্রে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, ইতিপূর্বে যেসকল ছাত্র-ছাত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আওতায় অনুদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন অনেকক্ষেত্রেই তাদের আবেদনপত্রগুলি রিজেক্ট করা হচ্ছে (Swami Vivekananda Scholarship Rejected)। আর তাতেই রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কেনো আবেদনপত্র রিজেক্ট করা হচ্ছে, স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদন রিজেক্ট করা হলে পুনরায় আবেদন করা যাবে কিনা তা সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে।
আর ছাত্র-ছাত্রীদের এই সকল প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে রাখি যে, যেসকল ড্রপ আউট শিক্ষার্থীরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আওতায় অনুদানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তাদের আবেদনপত্র রিজেক্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনের সময়ে ভুল নথি আপলোড করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও আবেদনপত্র রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবেদনপত্র রিজেক্ট হয়েছে কিনা কিংবা কোন কারণে আবেদনপত্র রিজেক্ট করা হয়েছে (Swami Vivekananda Scholarship Rejected) তা জানার জন্য যেকোনো ছাত্র বা ছাত্রীকে অবশ্যই স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে তার আবেদনের স্ট্যাটাস চেক করতে হবে।
প্রকাশিত হলো আবাস যোজনা ২০২২-২০২৩ এর শহরের লিস্ট। আপনার নাম রয়েছে কিনা এখনই চেক করুন
তবে কোনোক্ষেত্রে যদি ছাত্র-ছাত্রীরা বুঝতে না পারেন ঠিক কি কারণে তাদের আবেদন পত্র রিজেক্ট করা হয়েছে তবে উক্ত ছাত্র বা ছাত্রী স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://svmcm.wbhed.gov.in/ -এর একেবারে নিচের দিকে থাকা হেল্পলাইন নম্বর (+1800-102-8014) টিতে কল করে জেনে নিতে পারবেন কেনো তার আবেদনপত্রটি রিজেক্ট করা হয়েছে। আবেদনপত্র কেনো রিজেক্ট করা হয়েছে তার সঠিক কারণ জানা গেলে সেই কারণ অনুসারে বিষয়টি ঠিক করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ড্রপ আউট শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্র রিজেক্ট করা হচ্ছে। স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আবেদনের ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, শিক্ষার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে ড্রপ আউটের সঠিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক কারণ না উল্লেখ করতে পারার কারণেই ছাত্র-ছাত্রীদের নাম এই স্কলারশিপের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনোক্ষেত্রে যদি যথেষ্ট কারণ থাকা সত্বেও কোনো ছাত্র বা ছাত্রীর আবেদনপত্র বাতিল করা হয় তবে উক্ত ছাত্র বা ছাত্রীকে যথাযথ নথি সহকারে বিকাশ ভবনে উপস্থিত হতে হবে এবং তার আবেদন পত্রটি পুনরায় ভেরিফিকেশন করার জন্য আবেদন জানাতে হবে। পরবর্তীতে বিকাশ ভবনের তরফে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা অনুসারে আপনার আবেদনপত্রটি রিজেক্ট করা হবে নাকি পুনরায় বিবেচনা করা হবে তা নির্ধারিত হবে।
স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে উঠে এলো বড়ো আপডেট। এখন পাওয়া যাবে আরো বেশি সুবিধা
অন্যদিকে, যেসমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদনের সময় ভুল নথি আপলোড করার কারণে বাতিল হয়ে গিয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে সঠিক নথি সহকারে বিকাশ ভবনে উপস্থিত হতে হবে এবং ছাত্র বা ছাত্রীর আবেদন পত্রটি পুনরায় বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানাতে হবে। এক্ষেত্রে বিকাশ ভবনের তরফে সঠিক নথি সহকারে বিবেচনা করা হলে অনেকক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের আওতায় অনুদান পেয়ে থাকেন। সুতরাং, আবেদনপত্র রিজেক্টেড হয়ে গেলেও ভয় পাবার কোনো কারণ নেই, যথাযথ কারণ খুঁজে বের করে সে কারণ অনুসারে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারলে ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্যই স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অনুদান পাবেন।