২০২২ অর্থাৎ বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে টেট সংক্রান্ত সমস্ত ঝামেলার নিষ্পত্তি করে, সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে সমগ্র রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য টেট পরীক্ষার (TET Recruitment) আয়োজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই নতুন বছরের একেবারে শুরুতে অর্থাৎ এই চলতি মাসে টেট পরীক্ষার রেজাল্টও প্রকাশ করা হয়েছে। আর টেটের রেজাল্ট প্রকাশের পরই চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আগামী দিনে কবে টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে নানাধরনের প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link
আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয় যে, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল মহাশয় চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন যে, ইতিপূর্বে যেসমস্ত প্রার্থীরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরই ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের টেটে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে। অর্থাৎ বর্তমানে যে জেলাভিত্তিক ইন্টারভিউ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকরী করা হয়েছে সেটি সম্পন্ন হওয়ার পরই ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়া (TET Recruitment) কার্যকর করা হবে।
তবে বিভিন্ন সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, যেহেতু বিভিন্ন কারণে বহুদিন পর্যন্ত টেট পরীক্ষা এবং টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্থগিত ছিল তাই ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় যেসমস্ত পরীক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হয়েছেন তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর হতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। তবে আগামী দিনে কবে টেট পরীক্ষার ইন্টারভিউ কিংবা নিয়োগ প্রক্রিয়া কার্যকর করা হবে অথবা কতো শূন্যপদে নিয়োগ করা হতে পারে তা সম্পর্কে কোনো তথ্যই জানা যায়নি। বলা ভালো, পর্ষদের তরফে এখনো পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনোরকম তথ্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
দেড় লাখ টেট উত্তীর্ণর মধ্যে ইন্টারভিউ এর ডাক কারা আগে পাবেন?
তবে রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্য পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল মহাশয় জানিয়েছেন যে, ২০২৩ -এর শেষে পুনরায় টেট পরীক্ষা আয়োজন করা হবে পর্ষদের তরফে। এমনকী আগামী দিনে পর্ষদের তরফে শিক্ষাদপ্তরের অনুমতিক্রমে বছরে দু’বার টেট পরীক্ষা হতে পারে এইরূপ নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কেও চাকরিপ্রার্থীদের অবগত করেছেন গৌতম পাল মহাশয়। আর পর্ষদ সভাপতির এই ঘোষণার কারণে স্বভাবতই যথেষ্ট খুশি হয়েছেন সমগ্র রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীরা।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তারও শেষ নেই। বছরে দু’বার টেট পরীক্ষা আয়োজিত হলে রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতা বাড়বে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সমগ্র রাজ্যে চাকরি সহ ওয়াকিবহাল মহলের কর্তারা। সুতরাং, একদিকে যেমন নিয়োগ হবে এই বিষয়টি নিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা খুশি, অন্যদিকে ঠিক তেমনভাবেই আগামীদিনে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়তে চলেছে এই বিষয়টি নিয়েও যথেষ্ট চিন্তায় রয়েছেন সমগ্র রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীরা।