সরকারি হোক বা বেসরকারি যেকোনোক্ষেত্রের চাকরিতে যোগদান করবার পূর্বে চাকরিপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানাটা আবশ্যক। তবে যারা দেশের অর্থনীতি থেকে রাজনীতি সমস্ত ক্ষেত্রেই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সবার মনেই প্রশ্ন থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্য তথা কেন্দ্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মন্ত্রীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত নানাধরনের ভুঁয়ো তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে থাকে। এমনকী সাধারণ মানুষও সোশ্যাল মিডিয়ার এই সমস্ত বিভ্রান্তিকর তথ্যকেই বিশ্বাস করে থাকেন।
আর তাতেই পশ্চিমবঙ্গ তথা কেন্দ্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মন্ত্রী সহ রাজনীতিবিদদের শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে বারংবার বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাধারণ জনগণের মধ্যে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও রাজ্যের নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্নের অন্ত নেই। যার জেরে আজকের এই পোস্টে আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য আলোচনা করতে চলেছি।
আরও পড়ুন:- লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় নতুন করে যারা আবেদন জানিয়েছেন তারা কবে টাকা পাবেন জেনে নিন।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, ভারতের যেকোনো ক্ষেত্রের নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে আবেদনকারী ব্যক্তিকে তার আয়, আয়ের উৎসের পাশাপাশি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কেও যথেষ্ট তথ্য প্রদান করতে হয়। আর এই সমস্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৩৭ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী নিজেদেরকে গ্র্যাজুয়েট বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, এই ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর ১৪ শতাংশ নিজেদেরকে গ্র্যাজুয়েট প্রফেশনাল বলেই জানিয়েছেন। ৩০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী নিজেদেরকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট বলে দাবি করেছেন। শুধুমাত্র ৩ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী নিজেদের মাধ্যমিক পাশ, ডক্টরেট ও ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত বলে দাবি জানিয়েছেন, বাকি ১০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার দাবি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্যে আরো জানানো হয়েছে যে, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০২১ সালের ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নির্বাচন কমিশনের অধীনে হলফনামা জমা দিতে হয়েছিল। আর এই হলফনামা থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঠিক শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা গিয়েছে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক নির্বাচন কমিশনের অধীনে জমা দেয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে কি দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়:-
আরও পড়ুন:- কৃষকদের জন্য বড়ো খবর। আগামী দিনে কৃষকরা পিএম কিষাণ যোজনার আওতায় দ্বিগুণ টাকা পাবেন।
২০১৬ সালে জমা দেওয়া হলফনামা অনুসারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৭০ সালে দেশবন্ধু শিশু শিক্ষালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং এর পরবর্তীতে তিনি ১৯৭৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে উত্তীর্ণ হন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত শ্রী শিক্ষাতন থেকে ১৯৮০ সালে তিনি বি.এড সম্পন্ন করেন এবং ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজ অফ ল থেকে LLB সম্পন্ন করেছেন।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুসারে ১৯৭৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে M.A সম্পন্ন করেছিলেন এবং এরপর ১৯৮২ সালে তিনি কলকাতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজ অফ ল থেকে এলএলবি কমপ্লিট করেন।