there-is-going-to-be-a-major-change-in-education-system

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা সদ্য শেষ হয়েছে। তবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শেষ হতে না হতে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য একটি বিষয়। আর তা হলো নতুন শিক্ষানীতি (Education System)। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে নতুন করে সাজাতে এবং কেন্দ্র ও রাজ্যে একই শিক্ষানীতি কার্যকর করার জন্য নতুন নিয়ম কার্যকর করতে জোর কদমে উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার।

আর ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের যৌথ উদ্যোগে নতুন শিক্ষানীতি (Education System) সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে এক নির্দিষ্ট মীমাংসা করা হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন সূত্রের তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের তরফে শিক্ষানীতি সম্পর্কিত যেসমস্ত প্রস্তাবগুলি রাখা হয়েছে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। ফলত এই বিষয়টি নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকদের মধ্যে নানাবিধ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আর এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি যে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ইতিপূর্বে যে শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছিল তা কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষানীতির তুলনায় অনেকটাই আলাদা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, ভারতব্যাপী এক অভিন্ন শিক্ষানীতি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলির তরফে। ভারতের সংবিধান অনুসারে শিক্ষানীতি সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে পরিবর্তন আনতে হলে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়কেই যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর তাতেই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্যগুলির রাজ্য সরকারের সম্মতিতে সমগ্র ভারতজুড়ে এক অভিন্ন শিক্ষানীতি কার্যকরী করার উদ্যোগে নানাবিধ প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

ওয়েসিস স্কলারশিপের টাকা পেতে সকলকে করতে হবে এই কাজ। কিভাবে করবেন জেনে নিন।

কেন্দ্র এবং রাজ্যের অভিন্ন শিক্ষানীতিকে কেন্দ্র করে যেসমস্ত বিষয়গুলি সামনে এসেছে তা হলো:-
১. আগামী দিনে ৪ বছর বয়স হলে তবেই শিশুদের নার্সারিতে ভর্তি করা যাবে।

২. প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিশুর বয়স হতে হবে ৭ বছর। যে শিক্ষাবর্ষে শিশুকে স্কুলে ভর্তি করা হবে সেই বছরের ১লা জানুয়ারি তারিখ অনুসারে শিশুর বয়স হিসেব করা হবে।

৩. ১১ বছর বয়স সম্পূর্ণ হলে তবে একজন শিশুকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করা যাবে, এমনটাই জানা গিয়েছে এই নতুন নির্দেশিকা অনুসারে।

৪. এই নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে আগামী দিনে দশম শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা আর বাধ্যতামূলক থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গের দশম শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা মাধ্যমিক নামেই বিশেষ পরিচিত। সুতরাং, আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী মাধ্যমিক পরীক্ষা আর কোনোভাবেই বাধ্যতামূলক থাকবে না। এই নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে অপশনাল করা হবে।

সমস্ত খবর সবার আগে পেতে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত হন – Link

৫. অন্যদিকে, এই নতুন শিক্ষানীতি অনুসারে প্রত্যেকটি ছাত্রকে বাধ্যতামূলকভাবে দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিতে হবে অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গে যে পরীক্ষাটি উচ্চমাধ্যমিক নামে বিশেষ পরিচিত তা আগামী দিনে বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।

কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথ শিক্ষানীতির সম্পর্কিত এই সমস্ত তথ্যগুলি প্রকাশে আসতেই মাধ্যমিক পরীক্ষা অপশনাল করে দেওয়ার বিষয় নিয়ে আপত্তি করেছেন নাগরিকদের একাংশ। অনেকের মতে এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। যদিও মাধ্যমিক পরীক্ষা অপশনাল করা থেকে শুরু করে নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্র সরকারের তরফে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সম্পূর্ণ বিষয়টি এখনো পর্যন্ত বিবেচনাধীন রয়েছে।

এই কাজগুলো করলে দুবছরের জন্য ব্লক করা হবে আপনার সিমকার্ড।

আগামী দিনে এই সমস্ত প্রস্তাবগুলি শিক্ষা মহলের ব্যক্তিত্বদের তরফে বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হবে এবং তারপরে রাজ্য এবং কেন্দ্রের তরফে একটি অভিন্ন শিক্ষা নীতি কার্যকর করা হবে। কবে থেকে এই শিক্ষানীতি কার্যকর হতে চলেছে বা কোন কোন ক্ষেত্রে অবধারিতভাবে পরিবর্তন হতে চলেছে তা সম্পর্কেও এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। তবে খুব শীঘ্রই এ সম্পর্কিত তথ্যগুলি জানা যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন সূত্রের তরফে। তবে নতুন শিক্ষানীতি কার্যকর হলে রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন স্কুলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের এক আমূল পরিবর্তনের সাক্ষী হতে হবে, এমনটাই মনে করছেন শিক্ষাক্ষেত্রের কর্তা ব্যক্তিরা।