পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী নাগরিকদের সহায়তা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে বৃদ্ধ ভাতা এবং বিধবা ভাতার মতো পেনশন প্রোগ্রাম কার্যকরী করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের কাছে বারংবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, বহু সংখ্যক মানুষের এই সমস্ত ভাতার অধীনে নাম নথিভুক্তকরণের যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও এই সমস্ত ভাতার আওতায় অনুদান পেয়ে থাকেন। আর তাই এই সমস্ত দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য এবারে বৃদ্ধ ভাতা এবং বিধবা ভাতাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো করা পদক্ষেপ নেওয়া হলো নবান্নের তরফে (Government Allowances)। যার ফলে আগামী দিনে বহু সংখ্যক নাগরিকের নাম এই প্রকল্প দুটির তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে, এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিভিন্ন রিপোর্টে।
ইতিপূর্বে রাজ্য সরকারের কাছে বিধবা ভাতা এবং বার্ধক্য ভাতা যে সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছিলো সেই সমস্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিধবা ভাতা এবং বৃদ্ধ ভাতার অনুদান প্রাপকদের যাচাই করার প্রক্রিয়া কার্যকরী করা হয়েছিলো (Government Allowances)। আর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের ব্লক প্রশাসনগুলির তরফে এই দুই প্রকল্পের আওতাভুক্ত নাগরিকদের তথ্য যাচাই করে শুরু করে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি এও জানা গিয়েছে যে, একজন ব্যক্তি যাতে একাধিক প্রকল্পের অধীনে অনুদানের টাকা না পায় তা নিশ্চিত করতে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত নাগরিকদের আধার নম্বর আপলোডের দিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
ফলত ইতিমধ্যেই তথ্য যাচাইকরণের পাশাপাশি আধার আপলোডের প্রক্রিয়া কার্যকরী করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, কেবলমাত্র প্রয়োজনশীল যোগ্য নাগরিকরাই যাতে এই দুটি প্রকল্পের আওতায় অনুদান পান তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে বসবাসকারী নাগরিকদের আধার নম্বর সংগ্রহের কাজ চলছে। এমনকী কাজের ক্ষেত্রে কতটা অগ্রগতি হচ্ছে সেদিকেও কড়া নজর রেখেছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় পোর্টালে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ৫ লক্ষ উপভোক্তার নাম এই দুটি প্রকল্পের অধীনে অধিভুক্ত রয়েছে।
তবে যাচাইকরণের প্রক্রিয়াটি শুরু করার পরই এই ৫ লক্ষ নাগরিকের মধ্যে থেকে ৩ লক্ষ নাগরিককে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আগামী দিনে এই সমস্ত অনুদান প্রাপকরা বৃদ্ধ ভাতা এবং বিধবা ভাতার অধীনে অনুদান পাবেন না। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো তথ্য না জানালেও বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসনগুলিকে এই যাচাইকরণ এবং আধার আপলোডের কাজ শেষ করার জন্য বারংবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করতে উদ্যোগে রাজ্য সরকার।
যদিও এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, দ্রুততার সাথে যাচাইকরণ এবং আধার আপলোডের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা না হলে কোনোমতে এই দুটি প্রকল্পের অধীনে অনুদান প্রদানের প্রক্রিয়া কার্যকর করা সম্ভব হবে না। আর তাই সব দিক বজায় রাখতেই রাজ্য সরকারের তরফে এই কাজটি দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুতরাং, আপনিও যদি এই দুটি প্রকল্পের কোনো একটির অধীনে অনুদান পেয়ে থাকে তবে আপনাকেও আপনার গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে অথবা বিডিও অফিসে গিয়ে নিজের আধার কার্ডের সেলফ অ্যাটেস্টেড জেরক্স কপি জমা দিয়ে আসতে হবে (Government Allowances)।
যদিও ইতিমধ্যেই যাদের অ্যাকাউন্টের সাথে আধার নম্বর যুক্ত করা রয়েছে তাদের আলাদা করে আধার কার্ডের জেরক্স জমা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে যাদের অ্যাকাউন্টের সাথে সাথে আধার নম্বর যুক্তি নেই তারা এই কাজটি না করলে তাদের অনুদানের টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেই জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এমনকী যেসমস্ত ব্যক্তিদের ইতিমধ্যেই অনুদানের টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে তারাও নিজের আধার কার্ডের স্ব-স্বাক্ষরিত কপি জমা করলে পুনরায় এই প্রকল্পের অধীনে অনুদান পাবেন।